পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচার্য্যের বৈদাস্তিক মত । 3ఫ్సిచి মনোবুদ্ধি অহংকার দ্বারা, তাহার অবলম্বনেই তাহাকে রচনা করে। তাহাতে পরমাত্মাতে জীব-ধৰ্ম্মের অধ্যাস হয়। আবার জীবাত্মা, ঐ অবিদ্যাজন্যই, আপনার আশ্রিতভাব ও আত্মবুদ্ধির আলম্বন স্বরূপ পরমাত্মার আশ্রয়ভাবকে বিস্মৃত হইয়া অহংকারবিমুঢ় আপনাকেই মুখ্য-আত্মারূপে গ্রহণ করে। তাহাতে জীবাত্মাতে আশ্রয় স্বরূপ পরমাত্ম-ধৰ্ম্মই অধ্যস্ত হয়। কিন্তু উভয় প্রকার অধ্যাসই অসত্য । ১৫০। শঙ্করের ভূমিকার এই তাৎপৰ্য্য। পূর্বে যে সকল পারিভাষিক শব্দের তাৎপৰ্য্য দিয়াছি, তাহার সহিত ঐ তাৎপর্য্যের ঐক্য করিলেই জীবের দ্বৈত-সভার সহিত অদ্বৈতবাদের মনোহর অভিপ্রায় অবগত হওয়া যাইবে। যদিও সমগ্র শারীরক ভাষ্যে ঐ অভিপ্রায় সামান্যতঃ সঞ্চরিত আছে, কিন্তু বিশেষ বিশেষ স্থানে শঙ্কর স্পষ্টরূপে দ্বৈতবাদ প্রতিপাদন করিয়াছেন। ফলে তাদৃশ উক্তি সকল তাহার অদ্বৈতবাদের বিরোধী নহে, কিন্তু সৰ্ব্বতোভাবে তাহার মূল-উদ্দেশ্য প্রকাশক । , m ১৫১। শ্ৰীমান শঙ্করাচাৰ্য্য কেবল স্বষ্টির পূর্ব এবং মহাপ্রলয়ের পরবর্তী অবস্থা সম্বন্ধে, পরমেশ্বরের অন্তরাত্মত্ব ও সৰ্ব্বপ্রকাশকত্ব বশতঃ, এবং নিৰ্ব্বিকল্প-সমাধি-কালে জীবাত্মা ব্ৰহ্মানন্দে একীভূত হওয়া সম্বন্ধে জীব ব্রহ্মে ঐক্য অথবা জীব ও জগৎ মিথ্যা বলিয়াছেন । তিনি কেবল ঐ সকল অবস্থা উপলক্ষেই বলিয়াছেন যে, সকলই মিথ্যা কেবল পরমাত্মাই সত্য। কিন্তু ব্যবহারিক অবস্থায় শঙ্কর স্পষ্ট ভেদ স্বীকার ১৫২ ৷ যখন এই ভারত-রাজ্যে কোটি কোটি লোক ।