পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচার্য্যের বৈদাস্তিক মত। .3శి(t ১৫৩ । সে যাহা হউক, এখন ব্যবহারিক জগৎ ও জীবের সম্বন্ধে শঙ্করের দ্বৈতমত যে প্রকার তাহারই বিবর:ে প্রবৃত্ত হওয়া যাইতেছে । - ১৫৪ ৷ ব্যবহারিক অবস্থায় শ্রুতি ও ব্যাস-সূত্র সমুদয়ই দ্বৈত-প্রতিপাদক। শঙ্করাচাৰ্য্য তাহারই ভাষ্য করিয়াছেন, সুতরাং তাহার ভাষ্য তাদৃশ স্থলে স্পষ্ট বাক্যে দ্বৈতই প্রতিপাদন করিতেছে । তাহার প্রমাণার্থে আমি নিম্নে সংক্ষেপে কতিপয় কথা নিবেদন করিতেছি । o * * ১৫৫। পূর্বে বলিয়াছি যে, শঙ্করাচাৰ্য স্বীয় ভাষ্যের ভূমিকাতেই জীবাত্মা ও পরমাত্মাকে বিরুদ্ধ ধৰ্ম্মী বলিয়াছেন, এবং আরো বলিয়াছেন যে, জীবাত্মাতে পরমাত্মার সাদৃশ্য * আছে । সে সাদৃশ্ব দ্বৈত-প্রতিপাদক । ১৫৬। অতঃপর ১অঃ ১পাঃ ১৭ সূত্রের ভাষ্যে লিখিয়াছেন “যিনি লব্ধ। তিনিই লব্ধব্য হইতে পারেন না” । পরমেশ্বর “অবিদ্যা-কল্পিত, ঔপাধিক, কর্তা, ভোক্তা, বিজ্ঞানাত্মা জীব হইতে ভিন্ন হয়েন”। . . ১৫৭। ১অঃ ১পাঃ ৪ৰ্থ সূত্রের ভাষ্যে লিখিয়াছেন যে, “একমেবাদ্বিতীয়ং” । এই শ্রীতির এইরূপ অর্থ যে, ব্ৰহ্ম ভিন্ন আর কিছু নাই। এই অর্থ তত্ত্বজ্ঞানের উত্তরকালেই লগ্ন হয়। “তত্ত্বমসি” “তুমিই ব্রহ্ম, এই যে ব্ৰহ্মাত্মভাব ইহা শাস্ত্র প্রমাণ ব্যতীত (ব্যবহারিক অবস্থায় ) অবগত হওয়া যায় না” । ৬পূত্রের ভাষ্যে লিখিয়াছেন যে, “তত্ত্বমলি” “তুমিই তিনি, এই শ্রুতিতে প্রকৃত সৎকে আত্ম-শব্দে উপদেশ করিয়া, চেতন

  • ২৪ স্থঃ ১মঃ ১ পাঃ ।