পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

oło - ৰেদস্তি প্রবেশ । শ্বেতকেতুর আত্মারূপে র্তাহাকেই গ্রহণ করিয়াছেন”। এস্থানে “চেতন শ্বেতকেতুর” স্বীয় জীবাত্মাকে উহরূপে স্বতন্ত্র রাখিয়া, আবার স্পষ্টরূপে বলিয়াছেন যে, “জীবের স্বভাব চেতন, জীব শরীরের অধ্যক্ষ, এবং প্রাণের ধারয়িতা” এই বিচার দ্বৈতপ্রতিপাদক । ১৫৮। ১অঃ ১পাঃ ১২ অবধি ১৯দূত্র পর্য্যন্ত যে অধিকরণ তাহার ভাষ্যে লিখিয়াছেন—যথা ; ব্রহ্মই মুখ্য-আত্মা, জীবাত্মা অমুখ্য-আত্মা । কিন্তু আনন্দস্বরূপ ব্ৰহ্মই ঐ অমুখ্যজীবাত্মার অন্তরতম মুখ্য-আত্মা । আর জীবাত্মা পঞ্চকোষে আবদ্ধ। কিন্তু পরমাত্মা তাহার প্রতিষ্ঠা। অর্থাৎ পঞ্চকোষাবচ্ছিন্ন বিশ্ব, তৈজস ও প্রাজ্ঞ নামক জীবান্তরাত্মার সহিত পরমাত্মার অভেদ থাকিলেও ঐ ত্ৰিবিধ চৈতন্য দ্বারা স্বরক্ষিত জীব হইতে তিনি ভিন্নই । “তিনি রসস্বরূপ তৃপ্তি-হেতু, সেই রস লাভ করিয়া জীব আনন্দিত হয়েন” । এস্থলে জীব ও ব্রহ্মের ভেদ নির্দিষ্ট হইয়াছে। ১৫৯ ৷ ১অঃ ১পাঃ ২১ সূত্রের ভাষ্যে স্পষ্ট কহিয়াছেন যে, যে যাহার অন্তর্যামী সে তাহ হইতে স্বতন্ত্র । অতএব শরীরাভিমানী জীৰ হইতে অন্তর্যামী ঈশ্বর ভিন্নই । ১৬০ । ঐ অধ্যায়ের ঐপাদের ৪র্থ সূত্রের ভাষ্যে আছে যে, ইন্দ্রিয়-মনোযুক্ত যে আত্মা তাহাই ভোক্তা। কিন্তু পরমাত্মা ভোগ-রহিত তিনি সাক্ষী মাত্র। জীবাত্মাই অহংজ্ঞানের বিষয়, কিন্তু পরমাত্মা সেই জ্ঞানের সাক্ষী মাত্র । ১৬১. ১অঃ ১পাঃ ১মূত্রে কহিয়াছেন যে, কেহ কেহ “দেহাদি-ব্যতিরিক্ত সংসার জীবকে আত্মা কহে” কিন্তু পরমাক্সাই “আত্মা”। জীব “আত্মা” নহে। এস্থলে স্পষ্টই