পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচার্য্যের বৈদাস্তিক মত । ՖՀՊ বলিয়াছেন যে, “ব্ৰহ্ম’ নহে। তবে জীবকে অনাত্মা বলার কারণ এই বে, ব্রহ্মের অধিষ্ঠান ব্যতীত সে জড়ই—যেমন জ্যোতির অধিষ্ঠান ব্যতীত নেত্র অন্ধ । - ১৬২ ৷ ১অঃ ২পাঃ ১৯ সূত্রের ভাষ্যে লিখিয়াছেন যে, অন্তর্যামী হওয়া ব্রহ্মের ধৰ্ম্ম। জীবু অন্তর্যামী নহে। কাণু এবং মাধ্যন্দিন ঃ উভয়ে ব্রহ্মকে জীব হইতে ভিন্ন এবং জীবের অন্তর্যামী স্বরূপে কহেন । ای - ১৬৩ । ১অঃ ৩পাঃ ১৯দূত্রে লিখিয়াছেন যে, জীবেতে ব্রহ্মের আবির্ভাব আছে—সেই জন্য জীবেতে ব্রহ্মের আরোপ হইয়া থাকে । ১অঃ ২পাঃ ২৪ সূত্রে কহিয়াছেন যে “বৈশ্বানর” শব্দে ব্রহ্ম। ১অঃ ৩পাঃ ৪২ ও ৪৩ সূত্রে “বিজ্ঞানময়কে” এবং “প্রাজ্ঞকে ব্রহ্ম বলিয়াছেন। ১অঃ ৪পাঃ ১৭ সূত্রেও “প্রাজ্ঞকে” ব্ৰহ্ম বলিয়াছেন। এস্থানে মনোযোগ পূর্বক বুঝিতে হইবে যে, পাশ্চাত্য অদ্বৈতবাদিরা “প্রাজ্ঞ,” “তৈজস” ও “বিশ্বকে” যে জীব বলিয়াছেন তাহার তাৎপৰ্য্য ব্রহ্মই। আমি ইতি পূর্বে ধে পরিভাষা-বিবরণ দিয়াছি, তাহার “ব্যষ্টি সমষ্টি” ও “উপাধি” প্রকরণে দৃষ্ট হইবে যে, পরমেশ্বর যেমন কারণ-রূপে ঈশ্বর, হিরণ্যগর্ভ ও বৈশ্বানর নামে কথিত হন, সেইরূপ তিনিই কাৰ্যরূপে অর্থাৎ জীবরূপে প্রাজ্ঞ, তৈজস ও বিশ্ব শব্দে উক্ত হইয়া থাকেন। এইরূপ কথা দ্বারা জীব ও ব্রহ্ম অভেদ-বোধ হয়, কিন্তু ঐ সকল “প্রাজ্ঞ”, “তৈজস” ও “বিশ্ব” শব্দ প্রাকৃতিক জীব শব্দের বাচ্য নহে। সে সমুদয়ই ব্রহ্ম-বাচক, কেবল জীবেতে অধিষ্ঠান বশতঃ সামানাধিকরণ্যে ও অভেদ _ঙ্গ কালু এবং মাধ্যদিন শুক্ল যজুৰ্ব্বেদের দুই শাখা । , যাজ্ঞবল্ক্য তাহার