পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ বেদান্ত প্রবেশ । লক্ষণাম্বারা কাৰ্য্যরূপ ও জীব-সংজ্ঞা দ্বারা পরিচিত হয়েন । অার প্রাকৃতিক যে জীব তাহা তাহা হইতে স্বতন্ত্রই। এস্থলে অনেকে আপত্তি করিতে পারেন, উপরি উক্ত সূত্ৰসকলে “প্রাজ্ঞ’ শব্দকে ব্ৰহ্ম বলা হইয়াছে বটে কিন্তু “তৈজস” ও “বিশ্বকে” ব্ৰহ্ম বলেন নাই। তাহার উত্তর এই যে, উপরি উক্ত বৈশ্বানর শব্দই বিশ্ব-প্রতিপাদক। তাহার প্রমাণ এই যে, মাণ্ডুকোপনিষদে “বিশ্বের” স্থলে “বৈশ্বানর” শব্দ ব্যবহৃত হইয়াছে। অতঃপর উপরে যে “বিজ্ঞানময়” শব্দ আছে তাহাই “তৈজস”-বোধক, যে হেতু বিজ্ঞানময় কোষে তৈজসের অধিষ্ঠান প্রসিদ্ধ আছে। এতাবত নবীন অদ্বৈত-প্রতিপাদক ৰেদান্তশাস্ত্রে “প্রাজ্ঞ,” তৈজস,” ও “বিশ্বকে” যে জীব বলেন এবং তাহাকে কাৰ্য্যরূপী পরমেশ্বর বলিয়া যে, ব্রহ্মের সহিত অভেদরূপে গণ্য করেন, তাহ বাস্তবিক জীব নহে, কিন্তু জীবেতে ব্রহ্মের আবির্ভাব ও অন্তর্যামিত্ব মাত্র । কেবল লক্ষণা দ্বারা, জীব শব্দে উক্ত হয়। স্থতরাং প্রাকৃতিক জীব ব্রহ্ম হইতে স্বতন্ত্রই। জীবের এইরূপ স্বতন্ত্র সত্তাই শঙ্করের অভিপ্রায় । - ১৬৪ । শঙ্করাচাৰ্য্য ১অঃ ১পাঃ ২ সূত্রে লিথিয়াছেন যে, “জন্ম ব্যতিরেকে জীবের স্থিতি ও প্রলয় সম্ভব হয় না ।” এ কথা দ্বারা তিনি জীবের জন্ম স্বীকার করিয়াছেন এবং ১অঃ ২পাঃ ১২ সূত্রে ঈশ্বরকে গম্য এবং জীবকে গন্ত কহিয়া ভেদ প্রতিপন্ন করিয়াছেন। আরো ১অঃ ৩পাঃ ৫ সূত্রে জীবকে জ্ঞাত এবং আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মাকে জ্ঞেয় রূপে কহিয়াছেন। ১৮ সূত্রে স্পষ্ট বলিয়াছেন যে, জীব প্রাপ্ত, ব্রহ্ম প্রাপ্য, এ দুইয়ের ঐক্য সম্ভবে না। ২অঃ ১পাঃ ৯২২ সূত্রের ভাষ্যে