পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

xరిత বোস্ত প্রবেশ । জীবেতে ঈশ্বরের অংশ মাত্র আছে কিন্তু সকল ধৰ্ম্ম নাই। এ কথাতেও জীব ব্রহ্মে ভেদই জ্ঞাপন করিয়াছেন। ১৬৮। ৩অঃ ৩পাঃ ৫৪ সূত্রে ভাষ্য করিয়াছেন যে, জীব হইতেও ঈশ্বর মুখ্য প্রিয়, অতএব পরম স্নেহ সহকারে ঈশ্বরের উপাসনা করিবৃেক। ৫৫ সূত্রে কহিয়াছেন যে, পরমেশ্বর আর জীবে ভেদ আছে, যেহেতু জীবের সভাতে পরমেশ্বরের সত্তা নহে বরং পরমেশ্বর থাকাতেই জীব আছে। সেই পরমেশ্বরকে জীব উত্তম জ্ঞান দ্বারা লাভ করেন। ৪অঃ ১পাঃ ১২ সূত্রে কহিয়াছেন যে, মুক্ত হইলেও ঈশ্বর-উপাসনা করিবেক। ৪অঃ ৩পাঃ ১৬ সূত্রে কহিয়াছেন যে, মূৰ্ত্তিতে ব্ৰহ্ম-উপাসনা অপকৃষ্ট, আর বাক্য মনে ব্রহ্মোপাসনা উৎকৃষ্ট। . ১৬৯। এইরূপে শঙ্করাচাৰ্য্য পারমার্থিক ভাবে অদ্বৈতবাদ স্থিরতর রাখিয়া ব্যবহারিক অবস্থায় নানা স্থানে দ্বৈতবাদ প্রকাশ করিয়াছেন । দ্বৈতই ব্যবহারিক। অদ্বৈতবাদ কেবল অত্যুন্নত-জ্ঞানানুরোধে—কেবল শাস্ত্র দৃষ্টিতে, কেবল অধিক ভক্তি জন্য এবং ব্রহ্মকে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক আত্মীয় জ্ঞান করা এবং তাহার সর্বব্যাপ্তিত্ব ঘোষণার নিমিত্তে। জগৎ অপেক্ষা এবং জীব অপেক্ষা ব্ৰহ্মকে অধিক আদর করার নিমিত্তে এই সকল উপাদেয় ভাব উৎপন্ন হইয়াছে। নতুবা এই ব্যবহারিক জগৎ বা জীব একেবারে নাই বলা অথবা এ সকলকে ব্ৰহ্ম ১৭০। অনেকে মনে করেন, বেদান্ত শাস্ত্ৰ বুঝি জগৎ নাই ও বাস্তবিকই জগৎকে ব্ৰহ্ম বলেন। তাই মনে করিয়া বেদান্তের বিরোধীগণ বেদান্তকে ঘৃণার সহিত পরিত্যাগ