পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শঙ্করাচার্থের বৈদাত্তিক মত। - כסיי বেদান্তকে আদরও করেন। শেষোক্ত ব্যক্তিদিগের কুব্যাখ্যাই ষে প্রথমোক্তদিগের ঘৃণার কারণ তাহার আর সন্দেহ নাই । এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান জগৎ নাই বলা অথবা তাহার স্বতন্ত্র সত্তা অস্বীকার করিয়া তাহাকে বাস্তবিক ব্ৰহ্মই বলা শ্রীতি, বেদান্তসূত্র ও ভাষ্যকারগণের উদ্দেশ্য নহে। যদি উদ্দেশ্য হয় তবে অনেক শ্রুতির তাৎপর্ষ্যে দোষ হয়। দৃষ্টান্ত ; “ভয়াদস্তাগ্নিস্তপতি ভয়াত্তপতিসূর্য্যঃ ”. ইহঁার ভয়ে অগ্নি প্রজ্বলিত হইতেছে, ইহঁার ভয়ে সূৰ্য্য উত্তাপ দিতেছে । এই শ্রীতির অর্থ কর। - যদি সূৰ্য্য ও অগ্নিকে নাই বল, তবে পরমেশ্বরের ভয়ে তাহারাকি প্রকারে উত্তাপ দিতে বা প্রজ্বলিত হইতে পারে ? যদি ব্ৰহ্ম বল, তবে ব্রহ্ম আপনারই ভয়ে আপনি অগ্নিরূপে প্রজ্বলিত হন ও সূৰ্য্যরূপে উত্তাপ দেন এইরূপ “বদতোব্যাঘাত” ঘটে। অতঃপর বেদান্ত-সূত্রের দ্বিতীয়াধ্যায়ের প্রথম পাদের ৭৷১৬১৭ সূত্রে ভগবান বেদব্যাস জগৎকে সত্য বলিয়াই প্রতিপন্ন করিয়াছেন। ৭ সূত্রে কহেন, “অসদিতিচেন্ন প্রতিষেধমাত্রত্নাং” সতের প্রতিষেধ অসৎ, তাহা অসম্ভব। তাহ কেবল শব্দ মাত্র। বস্তুতঃ নাই। যেমন খ-পুষ্পের আভাস শব্দ মাত্রই—বস্তুতঃ নহে। অতএব “এই জগৎ অসৎ” এমত শব্দ ব্যবহারই হইতে পারে না । ১৭ সূত্রে কহেন ; , “সদ্ব্যপদেশান্নেতি চেন্ন ধৰ্ম্মান্তরেণ’বাক্যশেষাৎ”। বেদে স্থান-বিশেষে জগৎকে স্বষ্টির পূর্বে অসৎ । থাকা কহিয়া বাক্য-শেষে কহিয়াছেন যে, স্বাক্টর পূর্বেও জগৎ সৎ ছিল—অর্থাৎ সূক্ষাবস্থাতে ব্রহ্মেতে অবস্থিত ছিল। এখনও ব্রহ্মাশ্রয়ে জগৎ সত্যরূপেই প্রকাশ পাইতেছে। স্ত্রযাৰ পূজ্যপাদ শঙ্করাচাৰ্য্যও ঐরূপ ভাষ্য দ্বারা ঐসূত্র সকলকে