পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* . . ॉड़ প্ৰৰেখ f - ... " স্বীকার করিয়াছেন। এতাবত জগৎকে নাই বলা ও স্বয়ং ব্ৰহ্ম বলা বেদান্তের তাৎপৰ্য্য নহে। যেখানে যেখানে সেরূপ বাক্য প্রয়োগ করিয়াছেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, ব্রহ্মের ভাবে হৃদয় পূর্ণ হইলে অথবা পরমার্থের বিচার-কালে জগতের প্রতি দৃষ্টি, নির্ভর বা শ্রদ্ধা থাকে না স্থতরাং পরমার্থতঃ মিথ্য হইয়া যায় এবং ব্রহ্মের জগৎ-ব্যাপিনী শক্তিকে অনুভব করিলে জগতের প্রত্যেক পদার্থের স্ব স্ব সভা বিস্মৃতিপূর্বক, সকলকে ব্ৰহ্ম-শক্তিরই আবির্ভাব রূপে উপলব্ধি হইয় থাকে । এ সকল পারমার্থিক ভাব মাত্র, ব্যবহারিক ভাব নহে। এই পারমার্থিক ভাব উপার্জন করাই ব্রহ্মবাদীগণের কর্তব্য । ১৭১। আমি ব্রহ্ম, তুমি ব্রহ্ম ইত্যাদি বাক্যের যে গৃঢ় অর্থ আছে তাহ ইতি পূর্বে বলিয়াছি। শরীরের মধ্যে জীবাত্মা থাকাতে শরীর যেমন যত্ন-বিশিষ্ট হয় এবং সেই জীবাত্মাই আমি পদ-বাচ্য, সেইরূপ জীবাত্মার মধ্যে পরমাত্মা বর্তমান থাকাতে জীবাত্মা যত্ন-বিশিষ্ট হয়। সুতরাং পরমাত্মাই “পরম আমি” পদ-বাচ্য। দৃঢ়-ভক্তিজন্য এবং পরমার্থতত্ত্বানুরোধে সেই পরমাত্মাকেই আমি বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন। যেমন অনিমিয় নয়নে ক্ষণকাল জ্বলন্ত-সূৰ্য্যদর্শনে অপর সর্ব পদার্থ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়, তন্দ্রপ ব্ৰহ্মজ্ঞানীগণ সেই পরম আমিকেই আমি বলিয়া লাভ করত ' জাপমাদের উপাধি মাত্র আমিত্বকে বিসর্জন করিয়াছেন। নতুবা এমন কখনই মনে করিওন যে, আপনাকে জগতের স্বস্থিস্থিতি-প্রলয়ক ব্ৰহ্ম বলিয় কেহ কখন অনুভব করিতে পারেন । যাহারা অদ্বৈত-বাদের এরূপ অর্থ করিয়া রাখিয়া ছেন তাহদের শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য-অৰগতি নাই । তাহার।