পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yes - বেঙ্গাম্ভ প্রবেশ । লীন হওয়া, ইহারই নাম ব্ৰহ্ম-লাভ, ইহারই নাম ব্ৰহ্ম হওয়া, ইহারই নাম “জীব ও ব্রহ্মের ঐক্য”। ব্রহ্মের প্রতি ভক্তের অচল প্রেম ও ভক্তের প্রতি ব্রহ্মের অপার করুণা এই দুইটি আধ্যাত্মিক সত্যকে সমবেত করিয়া বেদান্ত-শাস্ত্র ভক্তকে এইরূপ পিতৃপদ ব্ৰহ্মত্ব প্রদান করিয়াছেন। শঙ্করাচার্য্যের প্রচার । ১৭৩। পূজ্যপাদ শঙ্করাচার্য্যের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বে, উপনিষৎ ও তাহার মীমাংসা স্বরূপ ব্যাসদেব-প্রণীত শারীরক সূত্রের অধ্যয়ন, অধ্যাপনা এবং প্রাচীন ব্রহ্মর্ষিগণ-সেবিত ব্ৰহ্ম-জ্ঞানের অনুশীলন প্রায়ই স্থগিত হইয়াছিল। শঙ্করাচাৰ্য্য অতি অল্প বয়সেই সাঙ্গ-বেদাধ্যায়ী হইয়া আৰ্য-ভূমির ঐ দুরবস্থা অবলোকন করত হৃদয়ে বেদন পাইলেন । ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষের নিদান-স্বরূপ ব্ৰহ্ম-দান দ্বারা বিপদগ্ৰস্ত ধরণীর উপকারার্থে তিনি দৃঢ়সঙ্কল্প হইলেন। তাহার দ্বাদশ বর্ষ বয়সে পিতার মৃত্যু হইয়াছিল, কেবল মাত মাত্র অবশিষ্ট ছিলেন। তিনিই একমাত্র মাতার আশা ভরসার যষ্টিস্বরূপ ছিলেন । যখন পরমেশ্বরের প্রতি মনুষ্যের মমতাবুদ্ধি জন্মে, তখন অপর সর্বপ্রকার মমতার বন্ধনই ছিন্ন হইয়া যায়। অতএব শঙ্করাচার্য ব্ৰহ্ম-গানে আর ব্ৰহ্ম-দানে মগ্ন হইয়া, মাতাকে পরিত্যাগ পূর্বক, স্বীয় অভীষ্ট সাধনাৰ্থে বহির্গত হইলেন। ফলতঃ বেদ, উপনিষৎ ও দর্শনাদি শাস্ত্র যেরূপ বিস্তীর্ণ ও বহু আলোচনা-সাধ্য, ব্রহ্মনায় ও ব্রহ্মজ্ঞানপ্রচার যেরূপ বহু সময় ও আয়াস সাধ্য, মানব-জীবন যেরূপ