পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবীন অদ্বৈতবাদ | ףסאל পরমহংস পরিব্রাজকাচাৰ্য্য ঐসদানন্দযোগীন্দ্র-বিরচিত বেদান্তসার গ্রু ও শ্ৰীমদভারতীতীর্থবিদ্যারণ্যমুনীশ্বর-কৃত পঞ্চদশী প্রভৃতি আধুনিক বৈদান্তিক গ্রন্থসমূহের ঐরূপ ভাব। ফলে যদিও ভাবে দুৰ্ব্বোধগম্য, তথাপি উক্ত আধুনিক গ্রন্থসমূহে যে প্রকার শৃঙ্খলার সহিত অদ্বৈতবাদের বিজ্ঞান প্রণয়ন কর। হইয়াছে, শঙ্করের বেদান্ত-ভাষ্যের কোন স্থলে অথবা তাহার প্রণীত অন্য কোন গ্রন্থে সে শৃঙ্খল দৃষ্ট হয় না। এই সব আধুনিক বৈদান্তিক গ্রন্থসমূহের মতই বর্তমান সময়ে বৈদান্তিক মত বলিয়। . চলিতেছে । প্রথম প্রথম পাঠ করিতে গেলে এই সকল গ্রন্থকে অত্যন্ত কঠিন ও নীরস বোধ হয়, কিন্তু তাহার জটিলত। যতই ভেদ করা যায়, তাহার মলোহারিত। ততই প্রতীয়মান হইতে থাকে। আমি ইতিপূর্বে পরিভাষা-বিবরণে সেই সকল গ্রন্থের সংক্ষেপ তাৎপৰ্য্য বলিয়াছি। মনোযোগপূর্বক পাঠ করিলে সৰ্ব্বত্রই দৃষ্ট হইবেক যে, অদ্বৈতবাদী আচাৰ্য্যগণের মতের মধ্যে কেবল স্থধা-মাখ দ্বৈতবাদই বিরাজ করিতেছে। কোন স্থানেই ব্ৰহ্মা তিরিক্ত ভোক্তা ও কর্তা স্বরূপ জীবাত্মার অভাব- দেখা যায় না ।ণ”

  • এই গ্রন্থ বারাণসী নগরে ২৬২ বৎসর পূৰ্ব্বে রচিত হয় এবং শকাব্দ ১৬০০ শকে নৃসিংহ সরস্বতী তাহার “স্ববোধিনী” নামে ও তৎপরে রামতীর্থ নামে এক দণ্ডী বিদ্বদ্মনোরঞ্জিনী” নামে টীকা করেন ।

+ স্কুল স্বল্প ও কারণ শরীর সম্বন্ধে নবীন অদ্বৈতবাদির অনেক লিখিয়াছেন। অন্যান্য শাস্ত্রেও তাহার বিস্তারিত বিবরণ অাছে। সেই সকল শাস্ত্রের অভিপ্রায় সামঞ্জস্য পূৰ্ব্বক সে বিষয়ের বিবরণ এই গ্রন্থের পরিশিষ্ট্রস্বরূপ আমার “স্কৃষ্টি” গ্রন্থে সন্নিৱেশ করিয়াছি। তাহা দৃষ্ট রুকহ।.