পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদান্ত প্রবেশ । معاملا মন্তব্য । ১৭৬ । এস্থলে আরো কিঞ্চিৎ মন্তব্য-কথা বলিয়া এই অদ্বৈতবাদের বিবরণ সমাপ্ত করি। অদ্বৈতবাদী আচাৰ্য্যগণ ধৰ্ম্মকে নিন্দা করিয়া কেবল ব্রহ্মজ্ঞানের উপদেশ দিয়াছেন। ঐ ধৰ্ম্ম শব্দে শ্রদ্ধা, ভক্তি, দয়া, দান, সত্য, অহিংসা প্রভৃতি ধৰ্ম্ম নহে। উহার অর্থ যজ্ঞাদি কৰ্ম্ম । বৈদিক-যুগে অগ্নিহোত্ৰাদি কৰ্ম্মই নরের ধৰ্ম্ম ছিল। স্থতরাং ধৰ্ম্ম বলিলে তাহাই বুঝাইত। কল্পসূত্র সকল ঐ সকল ধৰ্ম্মের ব্যবস্থাতেই পরিপূর্ণ স্থতরাং তৎসমুদয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে। পুৰ্ব্ব-মীমাংসাতে জৈমিনিদেব যজ্ঞাদি কৰ্ম্মেরই মীমাংসা করিয়াছেন । এইজন্য তাহার নাম ধৰ্ম্ম-মীমাংসা । ধৰ্ম্ম শব্দে যে আত্মার ধৰ্ম্ম তাহা অল্প দিন হইতে বিশেষরূপে প্রচলিত হইয়াছে। বেদান্তে ঐ সকল আধ্যাত্মিক ধৰ্ম্ম এক মাত্র ব্রহ্মজ্ঞানেরই মধ্যগত। ব্রহ্ম-জ্ঞানের অর্থ অতি বিস্তীর্ণ। ভক্তি, সাধু-ব্যবহার, অধ্যয়ন, উপাসনা,বৈরাগ্য, বিবেক প্রভৃতি সমুদয় তাহারই অন্তরঙ্গ । অতঃপর অদ্বৈতবাদী আচার্য্যের জ্ঞানীর পক্ষে স্বর্গ, নরক, পুনর্জন্ম, এ সকল স্বীকার করেন না । তাহারা বলেন যে, লোভী, ফল-কামনাসক্ত ও অজ্ঞানী দিগের বাসনামুসারে ঐরূপ গতি হইয়া থাকে –ব্রহ্মজ্ঞানীর পক্ষে ব্রহ্মই

  • গীতাতে আছে “যং যং বাপি স্মরন ভাবং ত্যজত্যস্তে কলেবরং । তং তমেবৈতি কোন্তেয়! সদা তদভাবভাবিতঃ” । বাসনাতে আবদ্ধ হইয়া যে ব্যক্তি সৰ্ব্বদা যাহা ভাবে, কলেবর ত্যাগ-কালে তাহাই তাহার স্মৃতি-পথে আরূঢ় থাকে ; সে ব্যক্তি সুতরাং মৃত্যুর পর তাদৃশ গতিই লাভ করে। কিন্তু “অস্তকালেচ মামেব স্মরন মুক্ত কলেবরং যঃ প্রয়াতি স মদ্ভাবং যাতি নাস্ত্যত্র সংশয়ঃ”। মরণ-কালে পরমেশ্বরকে স্মরণপূর্বক ধে ব্যক্তি দেহ ত্যাগ করে, সে র্তাহাকেই লাভ করে। ইহাতে সংশয় নাই । ফলে যে ব্যক্তি সমস্ত জীবন পরমেশ্বরের