পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ગ বেদান্তু প্রবেশ । আপনাকে কতই ভাগ্যবান মনে করিতেছেন। এই প্রভেদ অতি আনন্দজনক । ১৭৯ ৷ রামানুজ শঙ্করের যতে দোষারোপ করিয়৷ এই রূপ কহিয়াছেন যে, জগৎকে “রজুসপবৎ” বলা অযুক্ত কথা, কারণ সত্যস্বরূপ ঈশ্বরকে আশ্রয় করিয়া মিথ্যা থাকিতে পারে ন। তিনি সত্যসঙ্কল্প, র্যাহ করেন তাহাই সত্য। ঈশ্বর জীবের অন্তর্যামী—এই ভাবে তিনি জীবাত্মার সহিত অভেদ, ঠিক সেই প্রকার, যেমন আমি শরীর হইতে ভিন্ন হইলেও আপনাকে আপনি কখন কখন শরীরের সহিত অভেদ মনে করি। “তত্ত্বমসি শ্বেতকেতে৷” হে শ্বেতকেতো! তুমিই ব্রহ্ম, এই শ্রুতি-বাক্যের অর্থ এই যে, হে শ্বেতকেতো ! তোমার জীবাত্মার যিনি অন্তরাত্ম। তিনিই ঈশ্বর।ঞ্চ ফলতঃ শ্বেতকেতু স্বয়ংই যে ঈশ্বর এবাক্যের সে অভিপ্রায় নহে। “একমেবাদ্বিতীয়ং” এ বাক্যের এমত তাৎপৰ্য্য নহে যে, কেবল এক ঈশ্বরই আছেন আর কিছু নাই। ইহার অর্থ এই যে, ঈশ্বর স্বজাতীয়-ভেদ-রহিত । র্তাহার স্বজাতীয় দ্বিতীয় কেহ নাই । অর্থাৎoদুই ব্রহ্ম নাই। এক, এব, অদ্বিতীয়, এই তিন শব্দের দ্বারা সেই স্বজাতীয় দ্বিতীয়ের নিরাস করিয়াছেন। এই জগৎ ও জীব সকল স্বরূপতঃ তাহা হইতে পৃথকই। অথচ তিনি জগৎ ও জীব-বিশিষ্ট—অর্থাৎ সকলের সঙ্গে সঙ্গেই আছেন এবং প্রাণস্বরূপে সকলের অন্তর্যামী। র্তাহ হইতে ভিন্ন হইয়৷ কিছুই তিষ্ঠিতে পারে না । অতএব ঈশ্বরের সহিত

  • “স্তব জীবাত্মসমাধিকরণে যোহন্তরাত্মাসগুদ্ধবুদ্ধস্বভাববিশিষ্টঈশ্বরচ্চ এক এব ইতি প্রতিপাদ্যতে তত্ত্বমস্যাদি বাক্যেন” । ফলতঃ শঙ্করের মতও

ł -