পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাধবাচার্য্য । Sgt

  • তস্য’ হইবেক । অতএব উক্ত বাক্যের অর্থ এই যে, “শ্বেতকেতো ! তস্য ত্বং অসি’ অর্থাৎ হে শ্বেতকেতো । তুমি তাহারই, কি না, তুমি তাহারই নিয়ত সেবক, সহচর ও অনুচর। সুতরাং জীব ব্রহ্ম নহে। এই মতানুসারে পরমেশ্বর স্বতন্ত্র, কি না, পূর্ণ স্বাধীন। জীব অল্পতন্ত্র, কি না, পরমেশ্বরের অধীন । র্যাহারা জীব ও ঈশ্বরের অভেদ-চিন্তাকে উপাসনা কহেন, অন্তে র্তাহারদের নরক হয়। জগৎ ব্রহ্মও নুহে ভ্রমও নহে। অদ্বৈতবাদীরা জাজ্বল্যমান জগৎকে যে রজুসপবৎ বলেন এবং জীবেতে যে ব্রহ্মকে অধ্যাস করিতে যান তাহা অযুক্ত। অতএব জগৎ ও জীব সত্য এবং ব্রহ্ম হইতে পৃথক্ । “একমেবাদ্বিতীয়ং” অদ্বৈতবাদীরা এই শ্রীতির এই অর্থ করেন যে, “ব্রহ্মই এক এবং অদ্বিতীয়” । অর্থাৎ যাহা হইতে দ্বিতীয় আর কিছুই নাই তিনি অদ্বিতীয়। অদ্বৈতবাদীদিগের এই প্রকার অর্থানুসারে জগৎ ও জীব থাকে না। অতএব সে অর্থ সম্পূর্ণ অসঙ্গত। “একমেবাদ্বিতীয়ং” এই শ্রুতিতে “একং” শব্দের অর্থ একমাত্র, কি না, বহু নহেন । “এব’ শব্দের অর্থ “অন্য-যোগ-ব্যবচ্ছেদক” অথবা “ইতরব্যবচ্ছেদক” অর্থাৎ অন্য-সম্বন্ধাভাব—অন্য যে দ্বিতীয়াদি তাহার সহিত সম্বন্ধাভাব । যেমন কতিপয় পদার্থকে .এক, দুই, তিন, চারি করিয়া গণনা করা যায়। তাহার প্রত্যেকটিই অন্য-যোগ-ব্যবচ্ছেদক, কি না অন্য হইতে স্বতন্ত্র, সেইরূপ পরমেশ্বরের একত্ব কুই, তিন, চারি প্রভৃতি অন্যান্য রাশি হইতে স্বতন্ত্র । “এব’ শব্দের আর এক অর্থ “অযোগ-ব্যবচ্ছেদক” অর্থাৎ র্যাহাতে সৰ্ব্বদা একত্ব যুক্তই আছে,কি না,যিনি রূঢ়-পদার্থ-যাহাকে বহুভাগে ভঙ্গ করা যায় না এবং যিনি