পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাধবাচাৰ্য্য, বল্লভাচার্য্য। >8蟾” এইমতে অনেক গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন। সে সকল গ্রন্থ এ প্রদেশে কেহ অধ্যয়ন করে না । কেবল দক্ষিণাপথে তৎসমুহের বহুল অধ্যয়ন অধ্যাপনা হইয়া থাকে। ". ১৮৩ । মাধবাচার্য্য-প্রণীত দ্বৈতবাদকে ন্যায় ও বৈশেষিক দর্শনের অঙ্গীকৃত দ্বৈতবাদের সহ তুলু্য করা যাইতে পারে না । উক্ত দর্শনদ্বয় জীবাত্মাকে ও জগতের উপাদান পরমাণুকে যেমন ঈশ্বরের সমকালবৰ্ত্তী বলেন এবং তাহ পূৰ্ব্বে সৃষ্টি হওয়ার উল্লেখ করেন না, মাধবাচার্য্যের সে প্রকার মত নহে। ইহঁার মতে-জগৎ ও জীব পরমেশ্বরের স্বষ্টি কিন্তু স্বষ্টির সহিত অষ্টা এক নহেন । রামানুজের মতের সহিতও মাধবাচার্ষ্যের মতের এক প্রকার ঐক্যই হইতেছে। যে ভিন্নতা আছে তাহা কেবল ব্যাখ্যার প্রণালীতে মাত্র। মাধবাচাৰ্য্যও একজন রামানুজের সদৃশ ঈশ্বরভক্ত এবং যখন তিনি জীবকে ঈশ্বরের অধীন অথচ অস্বতন্ত্র বলিয়াছেন তখন অদ্বৈতবাদীদিগেরও গুঢ়তাৎপর্য্যের সহিত র্তাহার মত একই হইতেছে । বল্লভাচার্যের ভাষ্য অথবা শুদ্ধাদ্বৈতবীদ। ১৮৪ । বল্লভাচার্য্য শকাবদা পঞ্চদশ দীতে অর্থাৎ শঙ্করাচার্য্যের আট শত বর্ষ পরে আবিভূতি হন। ইহঁর নিবাস তৈলঙ্গ দেশে, এবং ইহঁর পিতার নাম লক্ষণ ভট্ট। ইনি বেদ-ভাষ্যকার বিষ্ণুস্বামীর শুদ্ধাদ্বৈত-মতানুসারে বেদীপ্তসুত্রের ভাষ্য করিয়াছেন। ইহঁর মতে জগৎ ও জীব মায়া মতস্থ অদ্বৈতবাদীরা যেমন জগৎকে “রাজুসপৰ্থং” বলিয়া