পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* বেদাঙ্ক প্রবেশ । ব্রহ্মেতে অধ্যাস করেন, ইনি তাহ করেন না । কিন্তু ইনি জগৎ ও জীবকে ব্রহ্মের সহিত একেবারে অভেদ দৃষ্টি করেন। “রজুসপবৎ’ বা “শুক্তিকারজতবৎ” শব্দের পরিবর্তে ইনি “অহিকুণ্ডলবৎ” অথবা “স্বর্ণকুণ্ডলবৎ” ইত্যাদি উপমা ব্যবহার করেন। অর্থাৎ যেমন সর্প হইতে সপের কুণ্ডল পৃথক্ নহে —যেমন স্বর্ণ হইতে স্বর্ণালঙ্কার পৃথক নহে সেইরূপ ব্ৰহ্ম হইতে জগৎ ও জীব পৃথক নহে। ইহঁার মতে এই জগতের সকল পদার্থ ও সকল জীবই ব্রহ্ম। এই মত শঙ্করাচার্যের মতুস্থ অনেক নবীন-অদ্বৈতবাদীদিগের মধ্যেও প্রবেশ করিয়াছে । শঙ্করাচার্য্যের, রামানুজস্বামীর ও মাধবাচার্য্যের মতসকলের মূল যেমন উপনিষদে অাছে এই শুদ্ধাদ্বৈতবাদের মূলও সেই প্রকার উপনিষদেই আছে। ফলে এই সব কথা সম্বন্ধে উপনিষদের যে সরল তাৎপৰ্য্য তাহ। আমি পুর্বেই নিবেদন করিয়াছি। + _ * - রামমোহন রায়ের ভাষ্য । ১৮৫ বেদান্তদর্শন অধ্যয়নের পূৰ্ব্বে বা অন্ততঃ তাহার সঙ্গে সঙ্গে উপনিষৎ পাঠ করা যে নিতান্তই প্রয়োজন তাহার: আর কথা নাই । বেদান্ত-দর্শন উপনিষদেরই মীমাংসা-গ্রন্থ, অতএব উপনিষৎআর ব্যাসদেব-প্রণীত বেদান্তসূত্রকে একত্রেই গ্রহণ করিতে হইবে । কিন্তু এতদ্দেশের মধ্যে বেদান্ত-শাস্ত্রের অধ্যয়ন অধ্যাপন প্রচলিত নাহি ক্ষ যে কিঞ্চিৎ আছে তাহ ক্ষমিম্বিলতে বেদ বেদান্ত_ত্ত বেদাঙ্গের অনুশীলন বরং কিঞ্চিৎ আছে, কিন্তু বঙ্গদেশে কিছুই নাই। এ সম্বন্ধে রামমোহন রায়ই বঙ্গের মুখোজ্জল