পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्रभि८भtश्न ब्रांश्च । । - "Hét!) নিমিত্তে বঞ্চিত হইয়াছেন। তিনি যে সহজ প্রণালীতে শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত করিয়া গিয়াছেন তাহ যেমন শাস্ত্রাঙ্গুমোদিত, তেমনি হৃদয়-গ্রাহী । । , ১৮৯। রামমোহন রায় বাঙ্গালা ভাষায় যে বেদান্তসূত্রের ভাষ্য এবং বেদান্তসার নামে এক ক্ষুদ্র গ্রন্থ প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহ শঙ্কর ভাষ্যেরই অনুযায়ী। তাহাতে তিনি স্বীয় অভিপ্রায় কিছুমাত্র প্রকাশ করেন নাই । কিন্তু নানা গ্রন্থের ভূমিকায় ও শাস্ত্রীয় বিচার-গ্রন্থসমূহে তিনি অনেক অভিপ্রায় ব্যক্ত করিয়াছেন । ঐ সকল অভিপ্রায়ের মধ্যে আমরা শাস্ত্র ও ব্রহ্ম-বিচারের প্রাগুক্ত সহজ প্রণালী দেখিতে পাই। ১৯০ ৷. প্রথমতঃ । কতিপয় শ্রুতি-পাঠে আপাততঃ এমত বোধ হইতে পারে, যেন ব্রহ্মই জগৎ ও জীবাত্মা হইয়াছেন। আর কতিপয় শ্রুতি-পাঠে ব্রহ্ম, জগৎ ও জীবাত্মাকে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র বোধ হয়। ন্যায় ও বৈশেষিক দর্শন এবং পাতঞ্জল শাস্ত্রও দ্বৈতবাদ স্বীকার করিয়াছেন। শারীরক-সূত্রের মধ্যেও গৃঢ়ভাবে অদ্বৈত-মিশ্রিত দ্বৈতবাদই বিরাজ করিতেছে। কিন্তু শঙ্করাচার্য্য যে প্রণালীতে শারীরক-ভাষ্য করিয়াছেন তৎপাঠে সহসা বোধ হয়, যেন পরমাত্মা ভিন্ন মানবের, স্বতন্ত্র কোন জীবাত্মা নাই। তবে যে জীবাত্মা নামটি শুনিতে পাওয়া যায় তাহ যেন নামমাত্র অর্থাৎ কেবল একটি উপাধি। স্থতরাং সে একটি যেন মিথ্যা সংজ্ঞার ন্যায় আপাততঃ বোধ হয়। অপর, উক্ত ভাষ্যে জগৎও যেন একটি ভোজ-বাজীর ন্যায় মিছা মায়া হইয়া আছে। শঙ্কর ভায্যের এরূপ ভাবের গুড় অর্থ ষে অতি মনোহর তাহা আমি ইতিপূর্বে বলিয়াছি। কিন্তু