পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫২ - , - বেদাস্ত প্রবেশ । শঙ্কর ভাষ্যের বা অদ্বৈত-প্রতিপাদক শ্রুতি সকলের তাদৃশ গুঢ় অর্থ কোন ব্যাখ্যাকার স্পষ্ট করিয়া না বলায় ভারতবর্ষ অভিলষিত ফল-লাভ করিতে পারেন নাই। ১৯১। রামমোহন রায় একটি অতি সহজ ও সুসংলগ্ন প্রণালী দ্বারা ঐ সকল শাস্ত্রের নিগুঢ় তাৎপৰ্য্য প্রকাশ করি লেন। তিনি মীমাংসা করিলেন যে, ব্রহ্ম, জীব ও জগতের মধ্যে পরস্পর ভেদ আছে। ভেদই সকল শাস্ত্রের তাৎপৰ্য্য উপনিষদে যে “ সৰ্ব্বং খল্লিদং ব্ৰহ্ম’ কহিয়াছেন, সে, ব্রহ্মের সর্বব্যাপ্তিত্ব-প্রতিপাদনার্থে। ‘ নানা, দেবতাকে যে ব্রহ্ম বলা হইয়াছে, সে, ব্রহ্মের সর্বত্রে বর্তমানত দেখাইবার জন্য এবং দুর্বলাধিকারীর হিতের নিমিত্তে। প্রত্যেক পদার্থে বা দেবতাকে স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ব্রহ্ম কহা শাস্ত্রের উদ্দেশ্য নহে । বামদেব, কপিল, শ্ৰীকৃষ্ণ প্রভৃতি মহাত্মারা যে, আপনা আপনাকে ব্রহ্মরূপে বর্ণন করিয়াছেন তাহার তাৎপৰ্য্য এই যে, “ অধ্যাত্ম-বিদ্যার উপদেশ-কালে বক্তারা আত্মতত্ত্বভাবে পরিপূর্ণ হইয়া পরমাত্ম-স্বরূপে আপনাকে ৰণন করেন।” ফলে তাহারা যে আপনার স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র ব্রহ্ম, ও বর্ণনার এমত তাৎপৰ্য্য নহে। রামমোহন রায়ের এইরূপ ব্যাখ্যায় স্থির হইয়াছে যে, জীবাত্মাকে, কোন মনুষ্যকে বা কোন . পদার্থকে স্বরূপতঃ ব্রহ্ম বলা অদ্বৈত-প্রতিপাদক শাস্ত্রের " উদ্দেশ্য নহে । ১৯২। দ্বিতীয়তঃ। যদিও ব্রহ্মজ্ঞানী ঋষিগণ গৃহস্থই ছিলেন; কিন্তু পশ্চাৎকালে সন্ন্যাসাশ্রম প্রবল হওয়ায় তদবধি সকলেরই এই সংস্কার জন্মিয়াছিল যে, গৃহে থাকিয়া ব্রহ্মোপা । সনাকরা যায় না। রামমোহন রায় শ্রীতি, স্মৃতি, গীতা