পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায় । - ጏ¢om প্রভৃতি শাস্ত্রের প্রমাণ দ্বারা ঐ সংস্কার দূর করিয়াছেন। ইহাতে এ দেশের অনেক ভদ্রলোক গৃহস্থাশ্রমে থাকিয়া ক্রমে ক্রমে উপনিষৎ ও বেদান্ত-দর্শনের বিস্তর জ্ঞান-লাভ করিয়াছেন এবং অনেকে ব্রহ্মোপাসক হইয়াছেন । ঈশ্বর-নিয়মিত গৃহস্থ-ধৰ্ম্ম এবং উচ্চাধিকারীদিগের উন্নত-আশা এ দুই তদ্বারা যুগপৎ চরিতার্থ হইতেছে। এই প্রণালীর নিমিত্তে আমরা রামমোহন রায়ের নিকটেই বিশেষরূপে ঋণী আছি। ১৯৩। এই বর্তমান কালে যাহার শাস্ত্র না মানিয়া কেবল যুক্তির অগ্রয় গ্রহণ করত পরমাৰ্থ-তত্ত্বের বিচার করিতেছেন র্তাহারদিগের বিচার-প্রণালীকে উৎকৃষ্ট বলা যায় না, কেন না, শাস্ত্রের প্রমাণ ব্যতীত যুক্তি অতি দুর্বল; বিশেষ সহস্ৰ সহস্ৰ বর্ষের শাস্ত্ররূপ পরীক্ষিত বৃত্তান্তের উপরিই যুক্তি সফলতা সহকারে কার্য্য করিয়া থাকে। কিন্তু রামমোহন রায়ের বিচার-প্রণালী একটি আশ্চৰ্য্য ব্যাপার। তিনি ঈশ্বরের প্রতি অচলা ভক্তি স্থিরতর রাখিয়া–শাস্ত্র ও যুক্তি উভয়েরই যথাযোগ্য মৰ্য্যাদা রাখিয়াছেন। ১৯৪। রামমোহন রায়ের মত বিষয়ে কতিপয় সূত্র ও তৎপোষকতায় তাহার স্বীয় বাক্যের দারভাগ-সমূহ নিক্ষে প্রদান করিতেছি। তিনি যে কিরূপ সহজ, যুক্তিযুক্ত ও স্বন্দর প্রণালীতে শাস্ত্রের বিচার করিতেন, তাহার আভাসও তাহ হইতে পাওয়া যাইবেক ।