পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামমোহন রায়ের মীমাংসা । । S44. ২০২। “এই প্রত্যক্ষ পরিদৃশ্যমান যে জগৎ ইহার কারণ ও নির্বাহকৰ্ত্তা পরমেশ্বর হন, শাস্ত্রতঃ ও যুক্তিতঃ এইরূপ যে চিন্তন তাহ পরমেশ্বরের উপাসনা হয় । ইন্দ্রিয়-দমনে ও প্রণব, উপনিষদাদি বেদাভ্যাসে যত্ন করা এ উপাসনার আবশ্যক সাধন হয়। অামারদের অভ্যাস-সিদ্ধ ইহা হইয়াছে যে, শব্দের অবলম্বন বিনা অর্থের অবগতি হয় না ; অতএব পরমাত্মার প্রতিপাদক প্রণব, ব্যাহৃতি, গায়ত্রী ও শ্রুতি, স্মৃতি, তন্ত্রাদির অবলম্বন দ্বারা তদৰ্থ যে পরমাত্মা তাহার চিন্তা করবেন। সত্যের অবলম্বন করিবেনু ” *

  • ৮। ব্রহ্মোপাসনা অসম্ভব নহে।

২০৩ । “ব্রহ্ম-জ্ঞান যদি অসম্ভব হইত। তবে “ আত্মা বা অরে শ্রোতব্যে মন্তব্যঃ’। ‘আত্মৈবোপাসীত’। এই রূপ শ্ৰুতি এবং স্মৃতিতে ব্ৰহ্ম-জ্ঞানু-সাধনের প্রেরণা থাকিত না, কেন না, অসম্ভব বস্তুর প্রেরণা শাস্ত্রে হইতে পারে না।”ণ ৯ । পিতা, পিতামহ ব্রহ্মোপাসনা করেন নাই বলিয়া ব্রহ্মোপাসনা হইতে বঞ্চিত থাকা সদসৎ-বিবেচনা-বিশিষ্ট মানবের কর্তব্য নহে। ২০৪ । "মনুষ্য যাহার সৎ অসৎ বিবেচনার বুদ্ধি আছে, সে কিরূপে ক্রিয়ার দোষ গুণ বিবেচনানা করিয়া, স্ববর্গে করেন, এই প্রমাণে ব্যবহার এবং পারমার্থ কাৰ্য্য নির্বাহ করিতে পারে ? এই মত সৰ্ব্বত্ৰ সৰ্ব্বকালে হইলে পর পৃথকৃ পৃথকৃ মত এ পর্য্যন্ত হইত না ।” {

  • অবতরণিক ৫পৃ। ১৭৫১শক । , + ঈশোপঃ ভূমিকা ৪ পৃ। # বেদান্ত স্থঃ ভূমিকা ।