পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

եր বেদান্ত প্রবেশ । তিনি কাশীক্ষেত্রে বাস করিয়াছিলেন। দক্ষিণদেশ-নিবাসী হরিদীক্ষিত “শব্দরত্ন” নামে ভট্টজী-কৃত "মনোরমার” এক টীকা করেন এবং উপরিউক্ত নাগোজীভট্ট “মনোরমাকে” খণ্ডনপূর্বক “শব্দেন্দুশেখর” প্রকাশ করেন। অপর, ভট্টজীদীক্ষিত ন্যায়, মীমাংসা ও ব্যাকরণ মতে,“বৈয়াকরণভূষণ” নামে এক সুন্দর সংগ্রহ প্রস্তুত করেন তাহাতে স্ফোটের বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে। আক্ষেপের বিষয় এই যে, বঙ্গদেশে এই সকল শাস্ত্রের অধ্যাপনা নাই। বারাণসী, দাক্ষিণাত্য, মিথিলা প্রভৃতি দেশে এই সকল শাস্ত্রের বহুল অনুশীলন আছে। এই সমগ্র শাস্ত্রই পাণিনি-সূত্রের শাখা প্রশাখা । সুতরাং সাধারণতঃ পাণিনি নামেই প্রসিদ্ধ। পাণিনি-পাঠের বিবিধ ফল । প্রথমতঃ চারিবেদ ও শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দঃ, জ্যোতিষ প্রভৃতি যে সকল প্রাচীন শাস্ত্র স্বাধ্যায়ের মধ্যে পরিগণিত হয় এবং যাহা পূর্বকালে ষট্ত্রিংশৎবর্ষ গুরুকুলে বাস করিয়া অধ্যায়নের ব্যবস্থা ছিল, তাহার মধ্যে কেবল এক মাত্র পাণিনিই এইক্ষণে প্রচলিত রহিয়াছে। স্বতরাং পাণিনি-পাঠের দ্বারা স্বাধ্যায়ের আংশিক ফল-লাভ হইয়া থাকে। দ্বিতীয়তঃ পাণিনি হইতে যে পরিমাণ ব্যাকরণের জ্ঞান-লাভ হয় অন্য কোন ব্যাকরণ হইতে তাহা হয় না। তৃতীয়তঃ পাণিনি উপযাছলে অপৰ্য্যাপ্ত বৈদিক-জ্ঞান প্রদান করেন। চতুর্থতঃ পাণিনি কেবলই ব্যাকরণ নহে, উহা এক খানি চমৎকার দর্শন-শাস্ত্রবিশেষ । উহার বিচার হইতে মনোবিজ্ঞান, আত্মতত্ত্ব ও ব্রহ্মজ্ঞান এই তিনই লাভ হইয়া থাকে । , ২ । পাণিনির মতে শব্দের তুই প্রকার প্রকৃতি, ৰশাত্মক এবং স্ফোট। বর্ণ এবং তাহার উচ্চারণ যে ধ্বনি এ উভয়ই