পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অতিরিক্ত পত্র । । ՖՆ: অনিত্য। বর্ণ এবং ধ্বনি স্কুল-প্রকৃতি-বিশিষ্ট । কিন্তু শব্দের যে অর্থ তাহ নিরাকার এবং সূক্ষ। শব্দ-স্পর্শ রূপ-রস-গন্ধহীন যে ভাবার্থ তাহাতেই মানবের প্রয়োজন । বর্ণাত্মক শব্দ তাহাই ব্যক্ত করিবার নিমিত্ত ব্যবস্থাপিত উপায় স্বরূপ । এক জন মনুষ্য অন্য মনুষ্যকে আপনার মনের ভাব জ্ঞাপন করিবার ইচ্ছা করিলে প্রচলিত বর্ণাত্মক বা ধ্বন্যাত্মক শব্দ দ্বারা তাহা করিয়৷ থাকেন। কিন্তু জ্ঞাতব্য যে মনোভাব তাহা বক্তা হইতে শ্রোতাতে নিরাকার ভাবে প্রবেশ করে। সেই নিরাকার ভাব বহন করিয়া দিবার নিমিত্তে শব্দ কেবল পার্থিব, সৰ্ব্ববাদী-সম্মত উপায় মাত্র, কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে তাঁদৃশ নিরাকার ভাব শব্দ হইতে নির্লিপ্তই আছে। এইরূপে প্রত্যেক শব্দ ওস্তুতরাং শব্দের বিষয় প্রত্যেক পদার্থ যখন ভাবেতেপরি ণত হয় তখন সেই নিরাকার-ভাব-জ্ঞানকে স্ফোট কহে । এই জ্ঞানই নিত্য, আর বর্ণাত্মক শব্দ সমুদয় অনিত্য । এইরূপ নিরা কার ভাবই ব্ৰহ্ম-জ্ঞানের হেতু স্বতরাং পাণিনির মতে ঐ স্ফোটই সচ্চিদানন্দ-ব্ৰহ্ম-স্বরূপ। যে বেদান্ত-শাস্ত্র সমস্ত বস্তুকে অনিত্য বলিয়া কেবল ব্রহ্মকেই এক মাত্র ধ্রুব-সত্য রূপে উপ দেশ দেন, শব্দের এইরূপ অনিত্যতা-বোধ তৎপাঠের বিশেষ উপযোগী । “বেদানাংবেদ ইতি ছন্দোগপ্রতিরেতৎপর্বৈপ্রতি মূলকত্বাৎ অস্যৈব বেদাঙ্গত্বং ” ইতি নাগোজীভট্টস্থত শ্ৰুতিঃ । এই যে পাণিনি ব্যাকরণ ইহা বেদসমূহের বেদ-সদৃশ, সে কথা ছান্দোগ্য শ্ৰুতিতে উক্ত আছে। কেবল এই ব্যাকরণই শ্রতিমূলক, ইহারই কেবল বেদাঙ্গত্ব। অন্যের নহে। ~*~