পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እግo বেদান্তু প্রবেশ । পরিচয় দিলে, বাদসাহের সন্তোষ জন্মিল । সেই সন্তোষের চিহ্নস্বরূপ বাদসাহ তাহাকে হাটী নামে এক প্রকাণ্ড পরগণা দান করিলেন। ঐ পরগণা তৎপূর্বে মহারাজা শিবসিংহের রাজ্য-ভুক্ত ছিল। শেষোক্ত মহারাজা নিৰ্ব্বংশ হইয়া পরলোক গমন করিলে তাহার ভূমি-ভাগ বাদসাহের খাসে ছিল। সেইকারণে রঘুনন্দন সহজে অত বড় খাস মহল প্রাপ্ত হইতে পারিলেন। তিনি বাদসাহী ফরমান লইয়া আনন্দের সহিত মিথিলাতে প্রত্যাগমন পূর্বক উহা মহেশ ঠাকুরকে গুরুদক্ষিণস্বরূপে দান করিলেন।ঞ্চ মহেশঠাকুর পণ্ডিতাধিরাজ ছিলেন, এর্থন রাজা হইলেন, কিন্তু তিনি অবধি র্তাহার সমস্ত বংশপরম্পরা বরাবর ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের অাদর অভ্যর্থনা করিয়া আসিয়াছেন । এই বংশই এইক্ষণে দ্বারভাঙ্গার রাজবংশ এবং মিথিলাধিপতি বলিঙ্গ উক্ত হয়। এই রাজবংশে বহুদিনাবধি রীতি অাছে যে, বিদ্যার্থীরা পাঠ সাঙ্গ করিয়া রাজবাটতে সভায় পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ হইলে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। ঐ নিয়মানুসারে মিথিলার সকল পণ্ডিতই রাজানুরাগী ছিলেন । কিন্তু সচল মিশ্র তাদৃশ ছিলেন না। এক বার মহারাজ মাধব সিংহ উাহাকে দেখিতে ইচ্ছা করায় তিনি সভাস্থ হইয়াছিলেন, কিন্তু মহারাজ র্তাহাকে দশ সহস্র রজত-মুদ্র মাত্র সম্মান, দেওয়ায় তিনি তাহা স্বীয় গুণের অযোগ্য বিবেচনায় পরিত্যাগ পূর্বক প্রস্থান করেন । তাহাতে রাজা তাহাকে পুনর্বার আহবান পূর্বক কহিলেন যে “হে পণ্ডিতবর আপনি দশ হাজার টাকা ত্যাগ করবেন না, আপনাকে অত টাকা

  • এখন এই মহলটি রাজ-দ্বারভাঙ্গার সকল পরগণা অপেক্ষ বৃহৎ । ইহার সংস্থান বার্ষিক একাদশ লক্ষ টাকা এবং গবর্ণমেণ্ট-কর এক লক্ষ টাকা ।