পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদ o শ্রুতিই অধিক, ব্ৰহ্ম প্রতিপাদক শ্রুতি অল্পমাত্র। কিন্তু উপনিষৎ ব্রহ্মপ্রতিপাদক শ্রুতির ভাণ্ডার। তাহাতে অতি অল্পসংখ্যক অস্পষ্ট শ্রুতি দৃষ্টিগোচর হয়। উপনিষদে কৰ্ম্মকাণ্ডীয় শ্রুতিও বিরল। কেবল দুই একটি, উপমাচ্ছলে বা প্রসঙ্গাধীন উত্থাপিত হইয়াছে। বরং উপনিষৎ-শাস্ত্রেই বৈদিক কৰ্ম্ম কাগু নিতান্ত হেয় ও বন্ধনের হেতু বলিয়৷ কথিত হইয়াছে । - ৯ । শাস্ত্রে কোন স্থানে বেদকে নিত্য ও অপৌরুষেয়, কোথাও বা ঈশ্বরপ্রণীত বলেন । সেরূপ উক্তির তাৎপৰ্য্য জানিতে হইবে । মানবের অধিকার ও রুচিবৈচিত্র্য জন্য মুখ্য ও গৌণ এই দ্বিবিধ বৈদিক উপাসনা ও তদনুযায়ী আচার স্বভাবতঃ প্রকাশ পাইয়াছিল। কোন ঋষি বা জ্ঞানী বুদ্ধিপূর্বক বেদ রচেন নাই। কেবল ঋষিগণের স্বাভাবিক ঈশ্বরগত অনুরাগই নিবৃত্তি ও প্রবৃত্তি মার্গ বিশিষ্ট বৈদিক ধৰ্ম্মকে প্রসব করিয়াছে। সে অনুরাগ র্তাহাদের পুরুষব্যাপারের মধ্যগত নহে। ঈশ্বরও স্বকীয় ইষ্টসাধনতাজ্ঞান-জন্য-প্রবৃত্তি-বশতঃ বুদ্ধিপূর্বক বেদের স্বষ্টিকৰ্ত্ত নহেন। কারণ, যদিও ঈশ্বর, ঋষিদিগের তদগত-বুদ্ধি ও অনুরাগে কুটস্থ ও বিধাতা রূপে বর্তমান ছিলেন, কিন্তু তাদৃশ অনুরাগরূপ যে একটি স্বাভাবিক কাৰ্য্য, তাহাতে তিনি কর্তা রূপে লিপ্ত ছিলেন না ; স্থতরাং তিনিও বুদ্ধিপূর্বক বেদের কর্তা নহেন। এতাবত আদিপুরুষস্বরূপ ঈশ্বর অথবা স্বস্টপুরুষ-স্বরূপ জীব, এ উভয়ের কেহই বুদ্ধিপূর্বক বেদ প্রকাশ করেন নাই । অতএব শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত এই ষে, বেদ অপৌরুষেয় ।