পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লেদ । 3. তত কাল যাবৎ এই দুয়ের যোগে পরমেশ্বরের উদ্দেশে স্তুতিবন্দনা উঠিবেই। তাহ নিত্যসিদ্ধ। বেদ সে নিয়মের বহিভূত নহে । বিশেষ এই যে, ঈশ্বরের সন্নিধানে মানবস্বভাবের যতপ্রকার ভাব গতিক হইতে পারে, বেদের মধ্যে সে সমু দয়েরই পরিচয় আছে; অতএব স্বাভাবিক-সনাতন-ধৰ্ম্ম-সন্ধিৎস্থ জনগণের পক্ষে বেদ অতি পবিত্র শাস্ত্র"। ১ (ক)। শাস্ত্রে যখন বেদকে এইরূপ নিত্য কহেন, তখন এক বৈদ অপেক্ষা অন্য বেদ প্রাচীন এইরূপ ব্যবহার কুিমতে হইতে পারে ? ইহার উত্তর এই যে, বেদশাস্ত্র স্বৰ্গ হইতে লিখিত হইয়। ধরণীতে আসে নাই, পরমেশ্বরও মর্ত্যে আসিয়া উহ লিখিয়া দেন নাই। শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত এই যে, বেদের ভিন্ন ভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্ন ঋষির নিকট বিধাতার নিয়মিত স্বভাব হইতে প্রকাশিত হইয়াছিল। তাহ কিছু এক দিনে হয় নাই । হুতরাং বেদের অগ্র পশ্চাৎ প্রকাশ সম্বন্ধে কালবিভিন্নতা অযুক্ত নহে। তাহাতে শাস্ত্রের বিরোধ নাই । ১১ । সমগ্রবেদশাস্ত্র প্রকাশের পর শত শত বর্ষ গত হইলে, ক্রমে তাহ লোকসমাজে পুরাতন হইয়াছিল। নানাশাখার অধীনে, সংহিতা ব্রাহ্মণ ও উপনিষদের ভিন্ন ভিন্ন অংশ সকল ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইবাতে তাহার বহুভাগ ভূপ্রাপ্য হইয়াছিল। এতাদৃশ সময়ে বেদশাস্ত্রের ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ও লুপ্তপ্রায় অংশ সকল একত্রে সংগৃহীত ও শ্রেণীবদ্ধ হওয়া নিতান্ত প্রয়োজন হইয়া উঠিল। শ্ৰীমদ্ভগবান ব্যাসদেৰ ঐ সকল্প খণ্ড অংশ একত্রিত করিয়া যথোপযুক্তরূপে ঋক্, যজুঃ, সামাদি ভাগে বিভক্ত ও শ্রেণীবদ্ধ করিয়া আৰ্য্যকুলের ঐ অভাব পূরণ করিলেন।