পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূত্র । So বিশেষ উপযোগী। প্রত্যেক সূত্রগ্রন্থ কেবল কতিপয় সূত্রের সমষ্টি। সূত্র সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বাক্যমাত্র। এ সকল গ্রস্থে শ্লোকের ন্যায় ছন্দে কোন প্রকার বচন নাই। শব্দের স্বল্পতানিবন্ধন টাকা-সাহায্য ব্যতীত সূত্রার্থ বোধগম্য হয় না। তাহ বুঝিবার নিমিত্তে অসাধারণ বিচার শক্তি, পূর্বপক্ষ, উত্তরপক্ষ, সিদ্ধান্ত বিষয়ক প্রণালীজ্ঞান এবং ব্যাকরণের বিশেষ ব্যুৎপত্তি প্রয়োজন করে। সূত্র সকল এক একটি বিষয়ের অধীনে পরস্পর সম্বন্ধাধীন। কোন একটা বিচাৰ্য্য বা বর্ণিত বিষয়ের সহিত যতগুলি সূত্র সম্বন্ধ রাখে তাহাকে অধিকরণ কহে । প্রত্যেক অধিকরণের পঁাচ পাচটি অঙ্গ আছে। যথা বিষয়, সংশয়, সঙ্গতি, পূর্বপক্ষ, এবং উত্তর-পক্ষ। একটি অধিকরণে যে নিয়ম স্থাপিত হয় তদ্বারা পরবর্তী এক বা অধিক অধিকরণ শাসিত হইয়া থাকে। নিয়মের এই প্রকার শাসনকে অনুবৃত্তি ও তাহার বিরামকে নিবৃত্তি কহে। এইরূপ অনুবৃত্তি ও নিবৃত্তির প্রতি দৃষ্টি না রাখিলে সূত্রগ্রন্থ সকল বুঝা যায়না । এই সমস্ত গ্রন্থের আশ্চৰ্য্য প্রকৃতির তুলনা ভারতীয় অন্য কোন শাস্ত্রে এবং অন্য কোন দেশের কোন গ্রন্থে দৃষ্ট হয় না। এইরূপে অতি সংক্ষেপ প্রণালীতে এক এক খানি সূত্রগ্রন্থ স্বকীয় বর্ণনীয় বা বিচাৰ্য্য শাস্ত্র বা বিষয়কে জনসমাজের উপকারার্থে প্রচার করিয়া রাখিয়াছে। এই সকল সূত্রগ্রন্থের সংখ্যা উত্তরোত্তর অনেক হইয়াছিল এবং তৎসমূহ সরংচিত হইতে শত শত বর্ষ গত হইয়াছিল। সেই শত শত বর্ষসমষ্টিকে সুত্র যুগ বলা যাইতে পারে। পূর্বে উক্ত হইয়াছে যে, বেদ সংহিতা এবং ব্রাহ্মণ ও উপনিষৎ সমূহই শ্রুতিনামে প্রসিদ্ধ। সূত্রগ্রন্থ সকল শ্রুতিমূলক বটে, কিন্তু তৎসমূহ