পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆ: বেদাস্ত প্রবেশ । শ্রীতি বলিয়া পরিগণিত নহে । কিন্তু বেদের জ্ঞানলাভার্থে সূত্রগ্রন্থ সমূহ অতিমাত্র প্রয়োজনীয়। ১৪। বুঝিবার সুবিধার নিমিত্তে “বেদাঙ্গ সূত্র” ও “দর্শন সূত্র” এই দুইটি সাধারণ শিরোনামের দ্বারা নিম্নে সংক্ষেপে সূত্রগ্রন্থ সমূহের বিবরণ দেওয়া যাইতেছে। বেদাঙ্গসুত্র । ১৫ । শিক্ষা, কল্প, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দঃ, জ্যোতিষ, এই ষড়বিধ শাস্ত্র বেদাঙ্গনামে প্রসিদ্ধ। এসকল শাস্ত্র আদৌ ব্রাহ্মণযুগে সংক্ষেপে আরব্ধ হইয়া ব্রাহ্মণ-খণ্ড-সমূহের অংশ স্বরূপে অপরিস্কটভাবে অবস্থিত ছিল। পশ্চাৎ সূত্রগ্রন্থে তাহাই বিস্তার প্রাপ্ত হইয়াছে। ১৬ বেদাধ্যয়নের সুবিধার নিমিত্তে শিক্ষা, ব্যাকরণ, নিরুক্ত, ছন্দঃ এই চতুৰ্ব্বিধ ভাষাবিজ্ঞান স্বস্ট হয় । ১৭। শিক্ষাশাস্ত্রের আর এক নাম প্রাতিশাখ্য' । প্রত্যেক শাখায় এক এক প্রকার শিক্ষাশাস্ত্র ছিল বলিয়া উহার সাধারণ নাম প্রাতিশাখ্য হইয়াছে। বর্ণ, স্বর প্রভৃতির উচ্চারণ শিক্ষা দেওয়াই এই শাস্ত্রের উদ্দেশ্য । এ পর্য্যন্ত কেবল চারিখানি শিক্ষাশাস্ত্র পাওয়া গিয়াছে। যথা, ঋগ্বেদের শাকল শাখান্তর্গত শৌনককৃত শাকল প্রাতিশাখ্য, যজুৰ্ব্বেদের তৈত্তিব্লয়প্রাতিশাখ্য, কাত্যায়নকৃত বাজসনেয়ী শাখার অন্তর্গত মাধ্যন্দিনপ্রাতিশাখ্য এবং অথর্ববেদীয় চতুরাধ্যায়িক প্রাতিশাখ্য।