পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-8 বেদান্ত প্রবেশ । ২২। কল্পসূত্র মূল ধৰ্ম্মশাস্ত্র। এই শাস্ত্র দ্বারা প্রাচীন বেদের প্রয়োজন একেবারে রহিত হইয়াছে। বেদের ব্রাহ্মণ ভাগই প্রধানতঃ কল্পসূত্রের মূল । শাখাভেদে ব্রাহ্মণ ভাগ সমস্ত বিস্তর অংশে বিভক্ত। নানা শাখান্তর্গত সেই সমস্ত ব্রাহ্মণখণ্ড হইতে কৰ্ম্মানুষ্ঠান সংগ্রহ পূর্বক ও যে সকল আচার-প্রতিপাদক বেদাংশ লোপ হইয়াছিল—অথবা যে সব কৰ্ম্ম কেবল প্রথামূলকই ছিল—তাহ, স্মরণ করিয়া আশ্বলায়ন প্রভৃতি ঋষিগণ কল্পসূত্র সকল রচনা করেন। এই সকল কল্পসূত্র তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। ১। শ্রেীত সূত্র। যজ্ঞ ও কৰ্ম্মসকল পুনরুদ্ভাবিত করত একটি স্থশূঙ্খলাযুক্ত সাধারণ ব্যবস্থা দ্বারা সমস্ত আৰ্যকুলকে এক নিয়মে বদ্ধ করা এই শাস্ত্রের উদ্দেশ্য ছিল। ইহার ব্যবস্থাপিত কৰ্ম্মসকল শ্রুতিমূলক বলিয়া ইহাকে শ্রোতসূত্র কহে এবং এতদ্ভুক্ত কৰ্ম্মসকলকে শ্রোতকৰ্ম্ম কহে। যথা, দর্শপৌর্ণমাস, অশ্বমেধ ইত্যাদি। কিন্তু সূত্রকারগণের এই প্রকার ধৰ্ম্মপ্রচারের ফল ভারতে বহুকাল থাকিল না । কেন না, ব্যবহারকালে সকলেই আপন আপন বংশপরম্পরপ্রচলিত, আচারই অনুষ্ঠান করিত ; তাহাতে যাগ যজ্ঞ প্রায় পরিত্যক্ত হইল । ২। গৃহসূত্র। ব্রাহ্মণদিগের ভিন্ন ভিন্ন শাখায় যে সকল গৃহ-কৰ্ম্ম প্রচলিত ছিল, অথচ শ্রুতিতে যাহার কোন ব্যবস্থা ছিল না, কিম্বা থাকিলেও যাহা কালক্রমে লুপ্ত হওয়াতে পূর্বপরম্পরা স্মরণদ্বারা সংগ্ৰহ করিতে হইয়াছিল, তাহাই প্রচলিত রাখা গৃহসূত্রের উদেশ্ব এবং তাহাই শাখামুসারে লোকে আজও পৰ্য্যন্ত অনুষ্ঠান করিয়া আসিতেছেন।