পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কল্প । እ¢ গর্ভাধান অবধি শ্রাদ্ধ পর্যন্ত তাবৎ ক্রিয়া গৃহসূত্রের অন্তর্গত। পূৰ্ব্ব আচার স্মরণ করিয়া লিখিত হইয়াছিল বলিয়া এগুলিকে স্মার্তসূত্র ও তদ্ভুক্ত কৰ্ম্মকে স্মার্তকৰ্ম্ম কহে। এখন ভবদেব ভট্ট প্রণীত যে সামবেদীয় কৰ্ম্মানুষ্ঠান-পদ্ধতি প্রচলিত আছে তাহ গোভিলকৃত গৃহসূত্র হইতে সংগৃহীত হইয়াছিল। ৩ । সময়াচারিক সূত্র। সন্ধ্যাবন্দন, সামাজিক দান ও ব্যবহারতত্ত্ব, আশ্রমবিহিত আচার ইত্যাদি ব্যবস্থা প্রণয়ন করাই এই সকল সূত্রের উদেশ্ব ছিল। এগুলিও স্মাৰ্ত্তসূত্র এবং এতদ্ভুক্ত ক্রিয়া স্মাৰ্ত্তকৰ্ম্ম বলিয়া পরিগণিত হয়। অপরঞ্চ, সময়াচারিক সূত্রকে ধৰ্ম্মসূত্রও কহে । ২৩।,এই তিন প্রকার ব্যবস্থা শাস্ত্র কল্পসূত্র নামে বিখ্যাত পাইয়াছিল। কিন্তু কখনই শ্রুতি নাম প্রাপ্ত হয় নাই । “বেদত্বং কল্পসূত্রাণাং নোবক্তব্যং মনাগপি” কল্পসূত্র কখনই বেদ বলিয়া উক্ত হইতে পারে না । তথাপি এ সমস্ত স্বাধ্যায়ের মধ্যে পরিগণিত হইয়াছে। ফলতঃ কল্পসূত্ৰসকল বেদের স্থলাভিষিক্ত হওয়াতেই বেদ স্বয়ং পদচ্যুত হইয়াছে। অতএব এই সত্যটি সকলের ধারণ করা উচিত যে, প্রাচীন শাস্ত্রকে রক্ষা করিবার নিমিত্তে যে সকল শাস্ত্র প্রস্তুত হইয়াছিল, অনেক সময়ে, তাহাই প্রাচীনের স্থান গ্রহণ করিয়াছে, তাহাতে প্রাচীন ক্রমে ক্রমে লোপ পাইয়াছে। কল্পসূত্র কর্তৃকও বেদের সেই অবস্থা ঘটিয়াছিল। “বেদার্দুতেহপি কুৰ্ব্বস্তি কল্পৈঃ কৰ্ম্মাণি যজ্ঞিকাঃ। নতু কল্পৈবিনা কেচিন্মন্ত্রব্রাহ্মণমাত্রকাৎ ” (কুমারিল) । যাজ্ঞিকেরা বেদ বিনা কেবল কল্পদ্বারা, কৰ্ম্ম করিতে পারেন, কিন্তু কল্পসূত্র ব্যতীত