পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ֆեյ বেদান্ত প্রবেশ । সমস্ত দর্শন সূত্র, বেদাঙ্গসূত্রসমূহের পশ্চাৎ প্রচারিত হয়। কিন্তু ইহা কখনই স্বীকার করা যুক্ত নহে যে, পূর্বে কোন না কোন আকারে কোন কোন দর্শনের মূল ভাব সমূহ প্রচারিত ছিলনা। বেদান্ত দর্শনের অনেক সূত্রে বাদরায়ণের অর্থাৎ ব্যাসের দোহাই আছে যথা, “পুরুষার্থোতঃ শব্দাদিতি বাদরায়ণঃ” (আত্মবিদ্যা হইতে সকল পুরুষাৰ্থ সিদ্ধ হয় বেদের এই মত ব্যাস কহিয়াছেন)। এমত অবস্থায় ইহা অনুমান করা অযুক্ত নহে যে বেদান্ত সম্বন্ধে ব্যাসের মত, যাহা পূর্বে অন্য কোন আকারে ছিল, তাহাই পশ্চাৎ অন্য কর্তৃক বেদান্ত সূত্রে গ্রথিত হইয়াছে। এবং সেই বেদান্ত দর্শন এখন লোকমধ্যে ব্যাসের প্রণীত বলিয়াই চলিতেছে। . বিচার করিয়া দেখিলে এইরূপ যুক্তি অন্য কোন কোন দর্শনেও সংলগ্ন হইতে পারে। " 蟲。 ২৭। দর্শনসূত্র সমূহ ধৰ্ম্মশাস্ত্র রূপে পরিগণিত হইতে পারে না। কেবল কল্পসূত্র ও স্মৃতি-নিবন্ধ সমূহই ধৰ্ম্মশাস্ত্র শব্দের বাচ্য। বেদোক্ত কৰ্ম্ম রক্ষা করিবার নিমিত্তে কৰ্ম্মকাণ্ডীয় শ্রুতিমূলক দশপেীর্ণমাসাদি কৰ্ম্মানুষ্ঠানের যথাবৎ ব্যবস্থা প্রচার করা শ্রোতসূত্রের উদ্দেশ্য ছিল এবং প্রথামূলক কৰ্ম্ম ও ব্যবহার সকল যতদূর স্মরণ ছিল তাহা ততদূর যথাবৎ প্রচার করা গৃহ্য ও সময়াচারিক সূত্রের উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু ঐ সকল শাস্ত্রে যেমন স্বাধীন যুক্তির সাহায্য গ্রহণ করা হয় নাই, দর্শনশাস্ত্র সকল সেরূপ প্রকৃতির নহে। বৌদ্ধদিগের বেদ-বিরুদ্ধ যুক্তিকে শ্রীতিসম্মত ও শ্রুতির অবিরুদ্ধ অথচ স্বাধীন যুক্তি দ্বারা খণ্ডন করিয়া বেদবিহিত প্রবৃত্তি বা নিবৃত্তিমাৰ্গ রক্ষা করাই দর্শন শাস্ত্রের উদ্দেশ্য। নিম্নে সেই দর্শনসমূহের সংক্ষেপ