পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দর্শন । ➢፭ বিবরণ দিতেছি । অবশেষে বেদান্ত দর্শনের অপেক্ষাকৃত বিশেষ বিবরণ প্রদান করিব । ২৮। দর্শনশাস্ত্রে প্রবেশ করিবার পূর্বে “তত্ত্ব,” “পদার্থ,” ও “কারণ” এই তিনটি শব্দের তাৎপৰ্য্য জানা উচিত। ন্যায়, বৈশেষিক, সাস্থ্য প্রভৃতি দর্শন শাস্ত্রের আরম্ভেই কতিপয় পদার্থ তথবা তত্ত্ব অঙ্গীকৃত হইয়াছে। যথা ন্যায়শাস্ত্রে ষোড়শপদার্থ, বৈশেষিকে সপ্তপদার্থ, সাস্থ্য মতে পঞ্চবিংশতি তত্ত্ব, পাতঞ্জল দর্শনে ষড়বিংশতি তত্ত্ব স্বীকার করেন। বর্তমান সময়ে “পদাৰ্থ” শ্লদের প্রচলিত অর্থ কেবল কতিপুয় ইন্দ্রিয়গোচর বস্তু মাত্র.। যেমন জল, স্বর্ণ, পারদ, মৃত্তিক ইত্যাদি। কিন্তু দর্শনশাস্ত্রের ব্যবহৃত পদার্থ সকলের সেরূপ অর্থ নহে। ক্ষেত্রতত্ত্ব বা ব্যাকরণ পাঠ করিতে হইলে প্রথমেই যেমন কতিপয় স্বতঃসিদ্ধ সংজ্ঞা কণ্ঠস্থ করিতে হয়,দৰ্শন-শাস্ত্রের অঙ্গীকৃত তত্ত্ব ও পদার্থও সেই প্রকার ধাতু বা সংজ্ঞা মাত্র।ঞ্চ

  • নবদ্বীপনিবাসী ৮ জগদীশ তঙ্ক লিঙ্কারের শব্দখণ্ডে আছে,—“রূঢ়ঞ্চ লক্ষকংচৈব, যোগরূঢ়ঞ্চ যৌগিকং। তচ্চতুৰ্দ্ধা পরৈরূঢ়-যৌগিকং মন্যতে

ধিকং। রূঢ়ং সঙ্কেতবন্নাম সৈব সংঙ্কেতি কীৰ্ত্ত্যতে। নৈমিত্তিকী, পারিভাষিকেীপাধিক্যপি তদ্ভিদাঃ ॥” যে পদসমুদয় শক্তি দ্বারা অর্থ উৎপন্ন করে তাহার নাম রূঢ়, যেমন গো, মণ্ডপ, ঘট, পট ইত্যাদি । যে পদ স্বকীয় প্রকৃতাৰ্থ ত্যাগ করিয়া কেবল লক্ষ্যার্থের বোধ জন্মায় তাহার নাম লক্ষণ । যেমন গঙ্গায় গোপ বসতি করে, অর্থ গঙ্গাতীরে গোপ বাস করে ।• লক্ষণ অনেক প্রকার আছে। যে পদ যৌগিকী শক্তি ও রূঢ়ি শক্তি উভয়ের দ্বারাই একার্থের বোধ জন্মায় তাহার নাম যোগরূঢ়। যেমন পঙ্কজ, জলধর, ধনদ, ইত্যাদি। যে পদ প্রত্যেক অংশের শক্তি দ্বারা অর্থ জন্মায় তাহার নাম যৌগিক। যেমন পাচক, ধনবান, ভূপতি ইত্যাদি । যে পদ যৌগিকী শক্তি ও রূঢ়ি শক্তি ইহার অন্যতর শক্তির দ্বারা অর্থবোধ জন্মায় তাহাকে “রূঢ়যৌগিক’ কহে । যেমন উদ্ভিদ, অন্ন ইত্যাদি। সঙ্কেতের ন্যায় যে নামটি রূঢ় অর্থ প্রতিপাদন করে তাহারই নাম সংজ্ঞা, সেই সংজ্ঞা তিন প্রকার । নৈমিত্তিকী, পরিভাষিকী, ও ঔপাধিৰ্কী । - - *