পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ন্যায়, বৈশেষিক । . ՀՖ করেন । র্তাহারা কহেন যে কারণ অন্য উপাদানের সাহায্য না লইয়া কাৰ্য্য উৎপন্ন করে, অথচ আপনি কাৰ্য্যরূপে পরিণত হয় না তাহার নাম বিবর্ত-উপাদান কারণ। যেমন রজুতে সপ ভ্রম হইলে রজ্জ্বই ঐ মিথ্যা সপজ্ঞানের প্রতি বিবর্ত উপাদান কারণ হয় ; অর্থাৎ রজ্জ্ব স্বয়ং সৰ্প হয় না, অথচ অপর উপাদানের সাহায্য ব্যতীত মিথ্যা সপের ভাণ উৎপন্ন করে । ন্যায় ও বৈশেষিক দর্শন। ৩০। ন্যায় দর্শনের মূল সূত্র সকল মহর্ষি গোতম প্রণীত এবং রৈশেষিক দর্শনের মূল সূত্র সকল মহর্ষি কণাদের প্রকাশিত বলিয়া প্রসিদ্ধ আছে । এই উভয়ের মধ্যে এইক্ষণে কোন শাস্ত্রেরই মূল সূত্রের সম্যক অনুশীলন নাই। কেবল উভয় শাস্ত্র সম্মত সংগ্রহ ও টীকা সকল সাধারণতঃ ন্যায়শাস্ত্র নামে অধীত হইয়া থাকে। পারমার্থিক মত বিষয়ে এই দুই শাস্ত্রে প্রভেদ নাই। তৎসম্বন্ধে এ উভয়েই সমভাবে যুক্তি-প্রধান শাস্ত্র। অপর অপর যে যে বিষয়ে এ দুইয়ের মতভেদ আছে তাহ অতি সামান্য । যথা— ৩১। মহর্ষি গোতম ন্যায়সূত্রে ষোড়শপদার্থ অঙ্গীকার করেন । যথা— * প্রমাণ, প্রমেয়, সংশয়, প্রয়োজন, দৃষ্টান্ত, সিদ্ধান্ত, অবয়ব, তর্ক, নির্ণয়, বাদ, জল্প, বিতণ্ডা, হেত্বাভাস, ছল, জাতি এবং নিগ্ৰহস্থান । (১) প্রত্যক্ষ, অনুমান, উপমান, ও শব্দ এই চারি প্রকার প্রমাণ । (২) প্রমাণের যে বিষয় তাহার