পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেদন্তি প্রবেশ । নাম প্রমেয়—যথা আত্মা, শরীর, ইন্দ্রিয়, অর্থ (আকাশাদি পঞ্চদ্রব্যের বিশেষ গুণ), বুদ্ধি, মনঃ, প্রবৃত্তি, দোষ, প্রেত্যভাব (মৃত্যু ও পুনর্জন্ম ), ফল, দুঃখ ও অপবর্গ (মুক্তি ) এই দ্বাদশ প্রকার । (৩) এক অধিকরণে বিরুদ্ধ ভাবের নাম সংশয় । যথা, পৰ্ব্বত ‘বহ্নিমন্ত” কিম্ব বহ্ন্যভাববন্ত এইরূপ অনিশ্চিত জ্ঞান i (৪) প্রবৃত্তির মূল যে ইচ্ছা তাহার নাম প্রয়োজন । (৫) প্রকৃত বিষয়কে দৃঢ় করিবার জন্য কোন স্থলের প্রতি যে দৃষ্টি করা যায় তাহার নাম দৃষ্টান্ত ; যেমন, যেখানে ধুম থাকে সেখানে বহ্নি থাকে ; যথা—“রন্ধনশালা”। (৬) শাস্ত্রার্থের নির্ণয়ের নাম সিদ্ধান্ত । (৭) বিচারাঙ্গবাক্যের নাম অবয়ব। যেমন ; “পৰ্ব্বতে বহ্নিমান” পৰ্ব্বতে অগ্নি আছে। এই বাক্য বিচারসাপেক্ষ, এজন্য উহা “অবয়ব” হইল। (৮) অনিশ্চিত অর্থে নির্ভর পূর্বক তত্ত্ব নির্ণয়ের নাম “তর্ক” । (৯) সিদ্ধান্ত বিষয়ে নিশ্চিত জ্ঞানের নাম “নির্ণয়” । (১০) তত্ত্বনির্ণয়ার্থে সরল বিচারের নাম “বাদ” । (১১) । স্বমত স্থাপন উদ্দেশে যে অন্যায় তর্ক করা যায় তাহার নাম “জল্প” । (১২) স্বমত স্থাপন হউক বা না হউক কেবল পরমত খণ্ডনার্থ তর্ককে “বিতণ্ডা” কহে। (১৩) যাহা প্রকৃত হেতু নহে, কেবল হেতুর আভাস মাত্র, তাহার নাম “হেত্বাভাস” । যথা "হ্রদোবহ্নিভাববান’; হ্রদোখিত বাষ্পকে ধূমভ্ৰমে যদি মনে করা যায় যে ঐ ধূম অগ্নির হেতুবোধক অতএব হ্রদে অগ্নি আছে, তবে তাদৃশ স্থলে ঐ বাষ্প “হেত্বাভাস’ হইল। (১৪) বক্তার কথার অর্থান্তর কল্পনার দ্বারা যে দোষাভিধান তাহার নাম “ছল” । (১৫) অনেক আশ্রয়ে বর্তমান যে পদার্থ তাহার নাম “জাতি” (ইহাকে বৈশেষিক দর্শনে “সামান্য” কহে),