পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৩৮

ন্যায়, বৈশেষিক । כיא যেমন দ্রব্যত্ব সকল দ্রব্যের “জাতি” বা সামান্যত্ব; এবং গোত্ব সৰ্ব্বপ্রকার “গোর জাতি” কি না গোত্বরূপ তত্ত্ব বা পদার্থটি সৰ্ব্ব প্রকার গোতে সমান ভাবে আছে । (১৬) বিচারের মধ্যে যে স্থলটিতে পরাজয় হয় তাহার নাম “ নিগ্ৰহস্থান”। এই ষোড়শ পদার্থ সমুদয়ই বিচারের উপকরণ মাত্র। সুতরাং ন্যয়শাস্ত্র যে কেবল তর্কও বিচারের এক প্রণালীমাত্র তাহার সন্দেহ নাই । বেদান্ত-বিচারে পরিভাষানুরোধে ঐ সকল তর্ক প্রণালীর জ্ঞান সামান্যতঃ প্রয়োজনীয়। ফলে বিবেচনা করিতে হইবেক যে উপরে আত্মা, শরীর, মুক্তি প্রভূতি যে দ্বাদশ প্রকার “প্রমেয়’ পদার্থের উল্লেখ করা গিয়াছে তাহাই ন্যায়শাস্ত্রে প্রমাণের বিষয় । । ঐ দ্বাদশ প্রকার পদার্থ সম্বন্ধে ন্যায়শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত সকল বেদান্ত-পাঠের বিশেষ উপযোগী ; যদিও ভাবপক্ষে উপযোগী না হয়, কিন্তু অভাব-পক্ষেও হইবেক । সেই সমস্ত পারমার্থিক বিষয়ে ন্যায় ও বৈশেষিক দশন একমতাবলম্বী। তাহা পশ্চাৎ প্রদর্শন করিব । সম্প্রতি অপর অপর যে যে বিষয়ে ন্যায় হইতে বৈশেষিক দর্শনের মত অন্য প্রকার তাহা বলিতেছি । ৩২। বৈশষিক মতে সামান্যতঃ পদার্থ সপ্তবিধ । “দ্রব্যং, গুণা, স্তথা কৰ্ম্ম, সামান্যং, সবিশেষকং। সমবায়, স্তথাহভাবঃ, পদার্থাঃ সপ্ত কীৰ্ত্তিতাঃ ॥” (১) যাহা গুণের আশ্রয় তাহাই “দ্রব্য” পদার্থ। যথা, পৃথিবী, জল, তেজ, বায়ু, আকাশ, কাল,দিক্‌, আত্মা, এবং মন এই ৯ প্রকার। (২) “গুণ” পদার্থ ২৪ প্রকার। রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, সংখ্যা, পরিমাণ, পৃথকৃত্ব, সংযোগ, বিভাগ, পরত্ব, অপরত্ব, বুদ্ধি, সুখ, দুঃখ, ইচ্ছা, দ্বেষ, যত্ন, গুরুত্ব, দেবত্ব, স্নেহ, সংস্কার, ধৰ্ম্ম, অধৰ্ম্ম,