পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՅ বেদান্ত প্রবেশ । এবং শব্দ। (৩) “কৰ্ম্ম” পদার্থ পঞ্চ প্রকার। উৎক্ষেপণ, অবক্ষেপণ, আকুঞ্চন, প্রসারণ, গমন । (৪) অনেক আশ্রয়ে বর্তমান যে জাতি তাহারই নাম “সামান্য” । “সামান্য” দ্বিবিধ। তন্মধ্যে যে সমানতা দ্রব্য, গুণ, ও কৰ্ম্মে বর্তমান তাহার নাম “পর-সামান্য”; আর পৃথিবীত্বাদি যে জাতি তাহার নাম “অপর-সামান্য’। (৫) “বিশেষ” নামক পদার্থটি অন্য কোন দর্শনে স্বীকৃত হয় নাই। এই “বিশেষ” পদার্থকে গ্রহণ করাতে এই শাস্ত্রের নাম “বৈশেষিক দর্শন” হুইয়াছে। যেরূপ ঘট পটাদি তাবৎ অনিত্য বস্তুর অবয়বের ভেদে পরস্পর ভেদজ্ঞান হয়, তদ্রুপ অবয়ব-রহিত নিত্যবস্তুর ভেদজ্ঞানার্থে “বিশেষ’ পদার্থের স্বীকার। “অন্ত্যোনিত্যদ্রব্যবৃত্তি র্বিশেষঃ পরিকীৰ্ত্তিতঃ ।” অন্ত্যঞ্জ অথচ নিত্য-দ্ৰব্য-বৃত্তি যে পদার্থ তাহার নাম “বিশেষ”। এক পরমাণুর সহিত অন্য পরমাণুর যে ভিন্নতা আছে, তাহ চক্ষুর অগোচর হইলেও সত্য, এবং সে বিশেষত চিরকালই থাকিবেক । তাহাই “বিশেষ” পদবাচ্য। এই কারণে পার্থিব পরমাণু ও জলীয় পরমাণু ঘটিত দ্রব্য সকলের আস্বাদ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র। এই “বিশেষতা” জীবাত্মা সমূহেও প্রয়োগ হয়। একটি জীবাত্মার সহিত অন্য জীবাত্মার যে ভিন্নতা আছে, তাহারও কারণ এই “বিশেষতা”। জীবাত্মাদিগের পরস্পরের মধ্যগত বিশেষতা অনন্তকালেও তিরোহিত হইবেক না। তাহারদের প্রত্যেকের ভাবভঙ্গীর স্বতন্ত্রতা এবং সমুদয় জীবাত্মার মধ্যে এই রূপ আশ্চৰ্য্য বিচিত্ৰত চিরকালই থাকিবেক । (৬) “সমবায়’ পদার্থ

  • "অগুনিত্য” শব্দে প্রলয়ের পরস্থায়ী।