পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૫ বেদান্ত প্রবেশ । প্রধান যে সকল বিষয়ে ন্যায় হইতে বৈশেষিক শাস্ত্রের মতভিন্নতা আছে তাহ এই প্রদর্শিত হইল। এইক্ষণে যে সকল পারমার্থিক বিষয়ে উভয়ের ঐকমত্য, তাহা কহিতেছি। বেদান্তের মতের সহিত তাহা তুলনা করিয়া বেদান্ত পাঠ করিলে বৈদান্তিক মতের তাৎপৰ্য্য স্বন্দর বুঝা যাইবেক । ৩৩। ন্যায় ও বৈশেষিক এই উভয় শাস্ত্র বেদকে উচিত মত মান্য করেন। কিন্তু কল্পসূত্র, স্মৃতি ও পূৰ্ব্বমীমাংসা যে প্রকার বেদকে নিত্য বলেন ইহার সেরূপ বলুন না। এই শাস্ত্রদ্ধয় অসাধারণ বিচার-শক্তি জহকারে স্বীয় স্বীয় প্রতিপাদ্য বিজ্ঞান-পথে অগ্রসর হইয়াছেন। ইহঁারা উভয়ে সমভাবে পরমাত্মা, জীবাত্মা, জগৎ, পরলোক ও সুখ-দুঃখ-নিবৃত্তিরূপ অপবর্গ অর্থাৎ মুক্তি এই সমস্ত স্বীকার করেন। পরমাত্মার অর্থাৎ পরমেশ্বরের নিত্য-জ্ঞান, ইচ্ছা ও যত্নাদি কতিপয় গুণ আছে । তিনি জগতের কেবল নিমিত্ত কারণ । উপাদান কারণ তিনি নহেন । এই উভয় শাস্ত্রে প্রকৃতিকে স্বীকার করেন না, তৎপরিবর্তে কেবল পরমাণু স্বীকার করেন। পরমাণু ও জীবাত্মাসমূহ “অন্ত্য-নিত্য” অর্থাৎ প্রলয়ে তাহারা নষ্ট হইবে না।ঞ্চ সেই সমস্ত পরমাণু

  • ন্যায় ও বৈশেষিক মতে পরমাণু ও জীবাত্মা কোন প্রকার প্রলয়ে নষ্ট হয় না। ফলে এ সকল স্বল্প স্বষ্টি যে নৈমিত্তিক প্রলয়ে ধ্বংস হয়না তাহা পুরাণাদির মত। (আমার স্বষ্টিগ্রন্থে অও প্রকরণে প্রলয়ের বিবরণ দেখ )। যদি সে তাৎপর্য্যে এই উভয় দর্শন পরমাণু ও জীবাত্মাকে নিত্য কহিতেন, তবে পুরাণাদি শাস্ত্রের সহিত র্তাহীদের বিপ্রতিপত্তি হইত না। কিন্তু তাহা নহে ; পূজনীয় উদম্বনাচাৰ্য্য কুস্কমাঞ্জলী গ্রন্থে লিখিয়াছেন “জন্যানাধারঃকালে মহাপ্রলয়ঃ” মহাপ্রলয়ে জন্যপদার্থ সকল থাকে না। জন্যপদে উৎপত্তিবিশিষ্ট। কিন্তু পরমাণু ও জীৰ নিত্য অর্থাৎ ধ্বংস ও প্রাগভাবের অপ্রতিযোগী, অর্থাৎ উৎপত্তি বিনাশ রহিত্ব । সুতরাং মহাপ্রলয়ে উহার নষ্ট হইবে না। পাশ্চাত্য