পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্য দর্শন । לסי নিত্য, কিন্তু তাহ হইতে স্বতন্ত্র । ফলতঃ প্রকৃতির বিকার যেমন উক্ত ত্রয়োবিংশতি তত্ত্ব, পুরুষের তক্রপ কোন বিকার নাহি । পুরুষ নিজেও কাহারও বিকার নছেন এবং অপর কিছুও পুরুষের বিকারজ নহে। - ৪০। প্রকৃতি ও পুরুষ ব্যতীত যে ত্রয়োবিংশতি তত্ত্ব তাহার নাম; যথা—মহৎ, অহঙ্কার, পঞ্চতন্মাত্র, একাদশ ইন্দ্রিয় ও পঞ্চস্থলভূত। ইহার প্রকৃতির বিকার হইতে যেরূপ ক্রমপূর্বক উৎপন্ন হুইয়াছে নিম্নস্থ কপিলসূত্রে তাহ জানা যাইবে । “সত্বরজস্তমসাং সাম্যাবস্থা প্রকৃতিঃ প্রকৃতেহম্মান মহতোই হঙ্কারোহহঙ্কারাৎ পঞ্চতন্মাত্রাণি উভয়মিন্দ্ৰিয়ং তন্মাত্রেভ্যঃ স্থলভূতানি, পুরুষ ইতি পঞ্চবিংশতিগণঃ ” (কঃ সু। ১৬১)। সত্ত্ব রজ তমোগুণের সাম্যাবস্থা গ্রু প্রকৃতি । প্রকৃতি হইতে মহত্তত্ত্ব জন্মে, মহৎ হইতে অহঙ্কার জন্মে। অহঙ্কার হইতে পঞ্চতন্মাত্র এবং একাদশ ইন্দ্রিয় উৎপন্ন হয়। পঞ্চতস্মাত্র হইতে পঞ্চ স্থল ভূত জন্মে। তদ্ভিন্ন পুরুষণ স্বতন্ত্র। ৪১। প্রকৃতির বিকার কিরূপে নিম্পন্ন হয়, তদ্বিষয়ে সূত্রকার লেখেন । “তৎসমিধানাদধিষ্ঠাতৃত্বং মণিবৎ” (কঃ সূঃ ১ । ৯৬) প্রকৃতির উপরি পুরুষের অর্থাৎ জীবাত্মার কোন কর্তৃত্ব নাই। কেবল লৌহ ও অয়স্কান্তমণিবৎ একটি সম্বন্ধ আছে মাত্র। অর্থাৎ পুরুষ প্রকৃতি সন্নিধানে অধিষ্ঠিত থাকাতে, প্রকৃতিতে বিকার জন্মে। সেই বিকারের নাম মহৎ অর্থাৎ

  • সঙ্কোচাৰস্থা—আমার স্বষ্টির অব্যক্ত প্রকরণ দেখ ।

f ভাগবতে প্রতিলোমবুদ্ধিবিশিষ্ট আত্মা ৩। ২৬ । ৩।