পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্য দর্শন । סיסי হয়। অতএব আত্মা স্থখ দুঃখের ফলভোগী নহেন। কেন না তাদৃশ ফলভোগ বা কর্তৃত্ব মন ও অহঙ্কার কর্তৃক আত্মাতে সম্পাদিত হয়। আত্মা যখন জানেন যে আমি প্রকৃতি নহি কিন্তু স্বতন্ত্র ও পুরুষ, তখনি প্রকৃতি-জনিত মন ও অহঙ্কার তিরোহিত হইলে আত্মা কৈবল্য অনুভব করেন। সেই কৈবল্যের বিবরণ পশ্চাৎ দিব । সম্প্রতি পঞ্চতন্মাত্রের ও অপরাপর তত্ত্বের উৎপত্তি-বিবরণ লিখিতেছি । - * ৪৪ , প্রাগুক্ত অহঙ্কার ত্রিবিধ। তামসিক, রাজসিক এবং সাত্ত্বিক। “একাশপঞ্চতন্মাত্ৰং যৎকাৰ্য্যং।” (কঃ সু ২১৭ ) একাদশ ইন্দ্রিয় ও পঞ্চতন্মাত্র তাহা হইতে উৎপন্ন । “সাত্বিকমেকাদশকং প্রবর্ততে বৈকৃতাদহঙ্কারাৎ ” (কঃ সু ২।১৮ ) একাদশক যে মন তাহ সাত্ত্বিক অহঙ্কারের কার্য্য। এবং দশ ইন্দ্রিয় রাজসিক অহঙ্কার হইতে এবং তাহাদের বিষয় যে পঞ্চতন্মাত্র নামক সূক্ষ পঞ্চভূত তাহা তামসিক অহঙ্কার হইতে উৎপন্ন। অতএব এই একাদশ ইন্দ্রিয় সাংখ্যমতে ভূতোৎপন্ন নহে ; কিন্তু আহঙ্কারিক । “আহস্কারিকত্বশ্ৰুতেনভোঁতিকানি।” (কঃ সূ ২২০ ) ইন্দ্রিয়গণ ভৌতিক নহে, কিন্তু আহঙ্কারিক, ইহা শ্রীতিসিদ্ধ । ন্যায় ও বেদান্ত মতে ইন্দ্রিয়গণ ভুতজ গ্রু ইন্দ্রিয়গণকে ভূতজ বলার প্রতি পূজ্যপাদ কপিলদেব এইরূপ কারণ প্রদর্শন করেন যে, “নিমিত্তব্যপদেশাৎ তদ্ব্যপদেশঃ” যেমন তেজ, কাষ্ঠের অবলম্বনে, অগ্নিরূপে প্রকাশ পায়, এবং তদ্ব্যপদেশে অগ্নিকে কাষ্ঠোৎপন্ন বলা যায়, সেইরূপ অহঙ্কার ভূতগণের আশ্রয়ে ইন্দ্রিয়গণকে উৎপন্ন করে এবং সেই জন্য ইন্দ্রিয়গণকে

  • আমার “স্বষ্টি” গ্রন্থের স্বল্প স্বস্ট্যধ্যায় দৃষ্টি করহ।