পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

g ৰেদাত্ত প্রবেশ ।ס\ ভূতোৎপন্ন বলা যায় ঃ (কঃ সৃঃ ৫১১- ) ইন্দ্রিয়স্থানের সহিত ইন্দ্রিয়কে এক জ্ঞান করা ভ্ৰম। “অতীন্দ্রিয়মিন্দ্ৰিয়ং ভ্রান্তানামধিষ্ঠানে।” ইন্দ্ৰিয়সকল অতীন্দ্রিয়, লোকে ভ্রান্তিবশতঃ তাহাদিগকে তাহীদের প্রতিষ্ঠা-স্থানের সহিত এক মনে করে। যথা, লোকে দৃশ্ব চক্ষুকে চক্ষু-ইন্দ্রিয় ভাবে, কিন্তু তাহা নহে। ইন্দ্রিয়শক্তি সূক্ষ, অদৃশ্য। তাহ কেবল দৃশ্বচক্ষুতে প্রতিষ্ঠিত আছে। (কঃ সূ: ২২৩ ) আত্মা এই সমস্ত ইন্দ্রিয়ের কৰ্ত্ত , এবং ইন্দ্রিয়গণ আত্মার করণ ("দ্রষ্ট ত্বাদিব্লাত্মনঃ করণত্বমিন্দ্রিয়াণাং ।” (বঃ সূঃ । ২২৯ \ দ্রষ্টত্ব প্রভৃতি কর্তৃত্ব আত্মার ; করণত্ব ইন্দ্রিয়গণের । ফলে যদিও আত্মা নিষ্কিয়, তথাপি ইন্দ্রিয়গণের সান্নিধ্য বশতঃ কর্তা হয়েন,কারণ তিনিই ইন্দ্রিয়গণকে বিষয়ে প্রেরণ করেন-যন্দ্রপ অয়স্কান্তমণি লোহকে স্পন্দিত করিয়া থাকে। ৪৫। ইন্দ্রিয়গণকে বাহ করণ কহে এবং মন ও তাহার অতিরিক্ত বুদ্ধি ও অহংকারকে অন্তঃকরণ কহে। ঐ অন্তঃকরণ কাৰ্য্য ও অবস্থাভেদে ত্রিবিধ। “ত্রিয়াণাং স্বালক্ষণ্যম্’ অন্তঃকরণ ত্রিবিধ। বুদ্ধি, অহংকার, মনী । বুদ্ধির স্বভাব নিশ্চয় করা ।

  • যদিও সাজ্য ইন্দ্রিয়গণকে ভূতজ বলেন না কিন্তু স্বশ্ন শরীরকে ভূতসংসর্গবিশিষ্ট বলিয়াছেন, ইহার পর তাহার দৃষ্টি করহ। -

অপিচ আমার স্বষ্টিগ্রন্থে স্বক্ষ শরীর প্রকরণ দৃষ্টি করহ। + বেদান্ত ও পুরাণে এই মনোবুদ্ধি অহঙ্কার জীবের। সাংখ্যেও উহ জীবের । তদ্ব্যতীত ৪১ ও ৪৩ ক্রমে যে মহত্তৰ ও অহঙ্কারের উল্লেখ করি - স্বাছি তাহাও যেন জীবেরই বোধ হয় । কিন্তু তাহা নহে। তাহ স্বষ্টিনিয়ামক উচ্চ মহত্তত্ব ও উচ্চ অহঙ্কার । পুরাণে তাহা ঈশ্বরের। সাংখ্যে তাহ বীজপুরুষের প্রাথমিক কর্তৃত্ব । যাহা হইতে পঞ্চতন্মাত্রাদি করির জগৎ প্রকাশ পাইয়াছে। সাংখ্যের সেই উচ্চ-কর্তৃত্ব সম্পন্ন বীজ পুরুষ হিরণ্যগর্ত শঙ্কের বাচ্য—জুতরাং ঈশ্বর। কেবল উপাধি ও বিশেষণের ভেদ ভিন্ন বিরোধ দেখিতে পাই না। অামার স্বষ্টিগ্রন্থে "মহত্তত্ব” দেখ । -