পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৫০

সাংখ্য দশন । Ψξ: অহংকার শব্দে অভিমান। মনের কার্য্য সঙ্কল্প বিকল্প, (هو الدينية 63ة) ৪৬। ইন্দ্রিয়গণ নিত্য নহে। এমত কি ইন্দ্রিয়াধীশ যে মন তাহা পৰ্য্যন্ত অনিত্য । কেবল প্রকৃতি এবং আত্মাই নিত্য। “প্রকৃতিপুরুষযোরণ্যৎ সর্বমনিত্যম্।।” (কঃ সৃঃ ৫।৭২) প্রকৃতি ও পুরুষ (আত্মা) ব্যতীত তাবৎ পদার্থ অনিত্য। নানা ইন্দ্রিয়ের সংসৰ্গাধীন মনের নানা অংশ আছে। কিন্তু মুন পরমাণুসমষ্টি নহে। . ৪৭। এই শাস্ত্রে পঞ্চ প্রাণবায়ু সম্বন্ধে এই মাত্র উক্ত ছুইয়াছে যে “সামান্যকরণৱত্তিঃ প্রাণাদ্যাবায়বঃ পঞ্চ” । প্রাণাদি পঞ্চবায়ু, কেবল মন,বুদ্ধি ও অহঙ্কার এই অন্তঃকরণ-বৃত্তিত্রয়ের সামান্য অর্থাৎ সংযোজিত বৃত্তিমাত্র। উহারা বায়ুর ন্যায় গতিশীল বলিয়া উহাদিগকে বায়ু কই যায়।ঞ্চ (কঃ স্থঃ ২I৩১) ৪৮। রাজসিক অহঙ্কার হইতে ইন্দ্রিয়গণ,সাত্ত্বিক অহঙ্কার হইতে মন, এবং তামসিক অহঙ্কার হইতে পঞ্চতন্মাত্র উৎপত্তি হওয়ার বিবরণ করা গেল। এইক্ষণ ইহাই জানিতে হইবে যে পঞ্চতন্মাত্রণ হইতে আকাশ, বায়ু, জ্যোতিঃ, জল ও পৃথিবী এই পঞ্চ স্থল ভূত উৎপন্ন হইয়াছে। “অবিশেষাদ্বিশেষারম্ভঃ” । অবিশেষ যে পঞ্চতন্মাত্র তাছা হইতে • যদিও কপিলস্থত্রে প্রাণকে অন্তরিক্রিয়ভুক্ত করিয়াছেন কিন্তু কোন কোন সাঙ্খ্যাচার্য্য পঞ্চপ্রাণের স্বতন্ত্র সত্তা স্বীকার করেন এবং তদতিরিক্ত আরো পঞ্চবিধ প্রাণবায়ু আছে বলেন। যথা নাগ, কুৰ্ম্ম, কৃকল্প, দেবদত্ত, এবং ধনঞ্জয় । কিন্তু বৈদাস্তিক আচার্য্যের প্রাণাদি পঞ্চবায়ুর মধ্যেই ও সকল গণ্য করেন। (বেদান্তসার ১৯২০ পৃ) + “স্থলাৎপঞ্চতষ্মাত্রস্য” কঃ হুঃ ১৬২। পঞ্চস্থল ভূত যখন আছে তখন তাহা হইতেই পঞ্চতন্মাত্রের অল্পমান হয় । a 1 -