পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ծէր বেদন্তি প্রবেশ । দ্বারাই উপলব্ধি হয়। “সপ্তদশৈকং লিঙ্গমৃ” সূক্ষ শরীর সপ্তদশ অবয়বের একতা । (কঃ সূঃ ৩৯)। যথা একাদশ ইন্দ্রিয়, পঞ্চতন্মাত্র নামক পঞ্চসূক্ষভূত, এবং বুদ্ধি। অহঙ্কার বুদ্ধির অন্তর্গত।* এই সূক্ষমদেহ স্থূলদেহরূপ আধার ব্যতীত স্বয়ং থাকিতে পারে না। “নস্বাতন্ত্র্যাৎ তদৃতে ছায়াবচ্চিত্রবচ্চ” যেমন আধার ব্যতীত প্রতিবিম্ব দাড়াইতে পারে না সেইরূপ স্থল শরীর ব্যতীত লিঙ্গশরীর থাকে না। সূক্ষ শরীর অতি সূক্ষ এজন্য কহিয়াছেন যে “অণুপরিমাণং তৎকৃত্ত্বি শ্রীতেঃ” বুেদ লেখেন যে তাহার আকৃতি। অণুবৎ সূক্ষ - (কঃ সৃঃ ৩১২) । এতাবত সিদ্ধান্ত হইতেছে যে, সূক্ষ দেহ অতি সুক্ষ এবং স্থল দেহের অবলম্বনে থাকে। অতএব আত্মা যখন স্থল দেহ ত্যাগ করিয়া লোকান্তরে যান এবং সূক্ষ্যদেহ তাহার অনুগামী হয়, তখন ঐ সূক্ষ্ম দেহ স্বীয় অবলম্বনের নিমিত্তে অন্য এক ব্যবহারিক স্থল দেহু ধারণ করে এবং ভূতসংসর্গবিহীন হইয়া কদাপি লোকান্তরে যায় না । ৫২। সূক্ষ্যদেহ যে লোকেই গমন করুক তদীয় ইন্দ্রিয় সকলের উপাদান সৰ্ব্বত্রে একই প্রকার থাকে। “নদেশভেদেপ্যন্যোপাদানতাম্মদাদি বন্নিয়মঃ ।” ৫১০৯ । দেশভেদে অর্থাৎ লোক লোকান্তর ভেদে সূক্ষ দেহের উপাদান পরিবর্তিত ।

  • বেদান্ত দর্শনেও সূক্ষ্ম দেহ সপ্তদশ অবন্ধবের সমষ্টি । প্রভেদ এই যে তাহাতে পঞ্চতন্মাত্র নাই এবং সাজ্যে পঞ্চ প্রাণ নাই । এই প্রভেদের সমাধান এই যে, সাঙ্খ্যমতে প্রাণপঞ্চ অস্তরিক্রিয়ের ৰিশেষ বিশেষ বৃত্তি মাত্র সুতরাং তাহার অন্তর্গত , তৎপরিবর্তে পঞ্চতন্মাত্র গ্রহণের কারণ এই যে, সাঙ্খ্য ইক্রিয়গণকে অভৌতিক বলেন । কিন্তু অভৌতিক হইলে তাহার। হুঙ্কশরীরে পরিণত হইয়া পরলোকে যাইতে পারে না । এইজন্য পঞ্চতন্মাত্র ৰামক স্বশ্ব পঞ্চভূক্তকে এস্থলে স্থশ্ন শরীরের অন্যতম উপাদান বলা হইয়াছে । প্রকৃত প্রস্তাবে এ সম্বন্ধে সাংখ্য ও বেদাস্তে কোন প্রভেদ নাই ।