পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্য দর্শন । Woo সেইরূপ নানা জীবদেহে ও জড়পদার্থে প্রবেশ করিতে পারে, এবং পুনরায় মানবদেহ ধারণ করিতে ক্ষমবান। সুক্ষদেহের এইরূপ গমনাগমন কেবল আত্মার নিমিত্তে, তাহার নিজের "কোন স্বাঞ্চনাহি । “পুরুষাৰ্থং সংস্থতি লিঙ্গানাং সূপকারবদ্রাজ্ঞঃ ” ৩১৬ । যেমত সূপকার রাজার নিমিত্তে পাক করে, নিজের নিমিত্তে নহে, সেইরূপ লিঙ্গশরীরের কার্য্য আত্মার শূন্য। t ৫৩। "লিঙ্গশরীর নিমিত্তক ইতি সনন্দনাচাৰ্য্যঃ”। ৬। ৬৯। সাঙ্খ্যদর্শন সনন্দনাচার্য্যের মতে একমত হইয়া কহিয়াছেন যে প্রকৃতি ও আত্মার মধ্যে যে পরস্পর সম্বন্ধ তাহ কেবল সূক্ষ শরীরে প্রয়োগ হয়। ঐ সূক্ষ শরীর ভৌতিক উপাদান স্বরূপে প্রলয় হইতে প্রলয়ান্তর পর্যন্ত আত্মাকে আশ্রয় করে। অর্থাৎ প্রলয়ে ঐ শরীর নষ্ট হয় না। কেবল জ্ঞান দ্বারাই পুরুষ উহার বন্ধন হইতে মুক্ত হইতে পারেন। ৫৪। স্বষ্টির আদিতে বীজপুরুষের নিমিত্তে কেবল একমাত্র সূক্ষ্যশরীর উৎপন্ন হইয়াছিল। এখন ব্যক্তিভেদে তাহার যত সখ্য দৃষ্ট হয়, ও পরে যত হইবে, ঐ আদিম বীজপুরুষের লিঙ্গদেহে তৎসমুদয়ের অব্যাকৃত সমষ্ট্রি ছিল। “ব্যক্তিভেদঃ কৰ্ম্মবিশেষাৎ” পশ্চাৎ কৰ্ম্মানুসারে * ব্যক্তিভেদ হইয়াছে। আদিতে ঐ সূক্ষ্যদেহ যে আদিম বীজ আত্মার অর্থাৎ মূল পুরুষের আধার স্থান ছিল তাহারই নাম ব্রহ্ম অথবা হিরণ্যগর্ত । পশ্চাৎ এক পিতাতে যেমন অনেক সন্তানের বীজ • বেদান্তস্থত্রে ২১৩৫ “নকৰ্ম্মীবিভাগাদিতিচেন্নানাদিত্বাৎ” অর্থাৎ স্থষ্টি আর কৰ্ম্মেয় পৰম্পন্ন কাৰ্য্যকারণত্বরূপে আদি নাই। - -