পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鲁及 বেদান্ত প্রবেশ । মনেতেই থাকে। “চিদবসানাভুক্তিস্তৎকৃষ্ঠার্জিতত্বাৎ” ৬৫৫। আত্মা যখন আপনাকে প্রকৃতি হইতে স্বতন্ত্র জানেন তখনই তাহার ভোক্তত্বের অবসান হয়। এইরূপ প্রকৃতির সহিত ভেদজ্ঞানরূপ তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হইলেই পুরুষের মুক্তি হয়। যাগ যজ্ঞাদি করিলে পুনঃ পুনঃ জন্ম অথবা স্বৰ্গাদি ভোগ হয়, কিন্তু মুক্তি হয় না । “তত্র প্রাপ্তবিবেকস্যানাবৃত্তিশ্রুতিঃ” । ১। ৮৩। শ্রুতিতে আছে যে পুরুষ প্রকৃতির ভেদজ্ঞান উপার্জিত হইলে আর জন্ম হয় না। . ৫৮। আত্মা অনেক স্বতরাং স্কুলেরই ক্রমে ক্রমে মুক্তি হইতে পারে, কিন্তু সকলের মুক্তি হইয়া যদি স্বষ্টির অন্ত হয় এই আশঙ্কা নিবারণের জন্য সূত্রকার বলিয়াছেন “ইদানীমিব সৰ্ব্বত্র নাত্যন্তোচ্ছেদঃ” (১।১৫৯) ইদানীর ন্যায় সৰ্ব্বকালই স্বষ্টি থাকিবে, অত্যন্ত "উচ্ছেদ হইবে না। কারণ পুরুষ অসংখ্য অসংখ্য । একেবারে সকলের মুক্তি অসম্ভব । ৫৯। আত্মাই কৰ্ত্তা, ভোক্তা এবং শরীরের অধিষ্ঠাতা। যদি আত্মা না থাকিত তবে শরীর গলিত স্খলিত হইত। “ভোক্ত রধিষ্ঠানাস্তোগায়তননিৰ্ম্মাণমন্যথা পূতিভাবপ্রসঙ্গাৎ” । ৫।১১৪ এই শরীর কেবল আত্ম কর্তৃক বিন্যস্ত হইয়াছে ও রহিয়াছে, নতুবা ইহা বিকৃত হইত। “ন দেহারম্ভকস্ত প্রাণত্বমিন্দ্রিয়শক্তিতস্তৎসিদ্ধেঃ”। (৫।১১৩) ইন্দ্রিয়শক্তিনিমিত্ত যে প্রাণত্ত্ব, তাহাও আত্মার অভাবে দেহকে রক্ষা করিতে পারে না। “ন সাংসিদ্ধিকং চৈতন্যং প্রত্যেকাদ্বষ্টেঃ ” (৩২০) ভৌতিক শরীরের ধৰ্ম্মে চৈতন্য উৎপত্তি হয় না, ভূতপদার্থেও চৈতন্য জন্মায়না, কারণ তাহাদের প্রত্যেকে চৈতন্য দৃষ্ট হয় না । অতএব বন্ধন হইতে যে মুক্তি হয় তাহার ভাগী চৈতন্য স্বরূপ