পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্য দশন । 8 Ֆ আত্মাই। মুক্তির আনন্দ শরীর, প্রাণ ও ইন্দ্রিয়গণ ভোগ করে না। কারণ তাহাদের স্বতন্ত্র চৈতন্য নাহি। প্রকৃতির সম্বন্ধাধীন তাহার কেবল আত্মার উপকারাথে আত্মাতে রঞ্জিত হইয়া থাকে এই মাত্র । ৬০। প্রকৃতি পুরুষের ভেদজ্ঞানে আত্মা হইতে ঐ রঞ্জন তিরোহিত হয় । সুতরাং আত্মাই মুক্তিলাভ করে। মুক্তিতে আত্মা কিরূপ সুখ অনুভব করে, তাহ দৰ্শাইবার নিমিত্তে কপিলদেবু স্বীয় সাস্থ্যসূত্রের ৫ অধ্যায়ের ৭৪ অবধি ৮৩ সূত্র পৰ্যন্ত লিখিয়াছেন যে, ভোগানন্দ, গুণবত্তা, ব্রহ্মলোকে বাস, স্মৃতিভ্রংশত, আত্মনিৰ্ব্বণ, ঐশ্বৰ্য্য, লয়, অণুত্ব এবং অলৌকিকত্ব এসব কিছুই মুক্তি নহে। কেবল প্রকৃতির উপদ্রব হইতে অব্যাহতি পাইয়া আত্মাতে কৈবল্য অনুভবই মুক্তিশব্দের বাচ্য। সেই কৈবল্য “প্রকৃতি হইতে পুরুষ স্বতন্ত্র” এইরূপ যোগাভ্যাসে লাভ হইতে পারে। সেই যোগের নামই উপাসনা পূজা বা ধ্যান। “রাগোপহতিধ্যানম্।” ৩৩০ ধ্যান দ্বারা বাসনা ক্ষান্ত হয় । বস্তুসান্নিধ্যজনিত বাসনাই জ্ঞানের প্রতিবন্ধক। ধ্যানই তাহা হইতে উদ্ধারের উপায় । “ধারণাসনস্বকৰ্ম্মণা তৎসিদ্ধিঃ” (৩ । ৩২) ধারণা, আসন, কর্তব্যসাধন, ইত্যাদি উপায়দ্বারা ধ্যান হইতে পারে । “আব্ৰহ্মস্তম্ভপর্যন্তং তৎকৃতে স্বষ্টিরাবিবেকাৎ”। ৩ । ৪৭। ব্ৰহ্মা হইতে স্তম্ভপর্য্যন্ত তাবৎ স্বষ্টি কেবল আত্মার উপকারার্থে । অতএব কোন এক আত্মা যে পৰ্য্যন্ত আপনাকে প্রকৃতি-জনিত স্বষ্টি হইতে স্বতন্ত্র না জানেন, সে পর্যন্ত স্বষ্টির মুখ্য উদ্দেশ্য সফল হয় না। যে আত্মা ঐ মুক্তিজ্ঞান লাভ করেন র্তাহার সম্বন্ধে স্বষ্ট্রির ক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় । অর্থাৎ