পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§§ বেদান্ত প্রবেশ । আর স্থষ্টি থাকে না। সাখ্যদর্শনোক্ত যোগসাধন এইরূপ। মহর্ষি পতঞ্জলি আপনার যোগদর্শনে ঈশ্বর স্বীকার পূর্বক এইরূপ যোগেরই বিস্তার করিয়াছেন । এইরূপ যোগ সচরাচর সাঙ্খ্য-যোগ বলিয়া উক্ত হয় । - ৬১। সাংখ্যদর্শন যেমন আত্মার নিত্যতা, পরলোক, । যোগসাধন এবং মুক্তি স্বীকার করেন তদ্রুপ আৰ্য্যকুলের শিরোরাত্ব স্বরূপ বেদকেও মান্য করিয়াছেন। সাংখ্যসূত্রে আছে—“ন নিত্যত্বং বেদানাং কাৰ্য্যত্বশ্ৰুতেঃ ” ৫৪৫। বেদ নিত্যুকাল হইতে নাহি। উহা যে কুষ্টবস্তু তদ্বিষয়ে শ্রুতি আছে। বেদান্ত সূত্রের প্রথমাধ্যায়ের প্রথম পাদে তৃতীয় সূত্রে বেদের নিত্যত্ব খণ্ডন করিয়া কহিয়াছেন “শাস্ত্রযোনিস্থাৎ” শাস্ত্রের অর্থাৎ বেদের কারণ ব্রহ্ম। সাঙ্খ্য আবার তাহাকে খণ্ডন করিয়া কহিয়াছেন “নপৌরুষেয়ত্বং তৎকৰ্ত্ত পুরুষস্যাভাবাৎ” (৫।৪৬) অর্থাৎ র্যাহারা বেদকে নিত্য বলেন র্তাহারা উহাকে অপৌরুষেয় বলেন। পুরুষ শব্দে এখানে পরমেশ্বর। অর্থাৎ পরমেশ্বরও যাহা স্বষ্টি করেন নাই কিন্তু নিত্যকাল আছে তাহা অপৌরুষেয়। বেদাস্তসূত্রে বেদকে ব্রহ্মের স্বাক্টর অন্তগত করিয়া প্রকারান্তরে পৌরুষেয় কহিয়াছেন, যেহেতু ব্ৰহ্মই প্রকৃতুির স্বামী পুরুষ । সাংখ্য কহিতেছেন “তৎকৰ্ত্ত পুরুযস্যাভাবাৎ” । বেদের তাদৃশ কর্তা কোন বুদ্ধিমান, ইষ্টসাধনতৎপর পুরুষ নাই। স্থতরাং উহা পৌরুষেয় নহে। এস্থলে জিজ্ঞাসা করিতে পার যে, যদি সাঙ্খ্য বেদকে নিত্যও কহিলেন না, ঈশ্বরের স্বস্টও বলিলেন না তবে কি তিনি বেদকে মনুষ্যের কৃত বলেন ? ইহার উত্তর এই যে স্পষ্ট তাহাও বলেন না। “ যস্মিন্নদৃষ্টেইপি কৃতবুদ্ধিরূপজায়তে