পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাংখ্য দর্শন । B& তৎপৌরুষেয়ং।” ৫৫০ । যে কাৰ্য্য করিতে বুদ্ধি প্রয়োজন হয়, সে কাৰ্য্য অদৃশ্য হইলেও, তাহাকে পৌরুষেয় বা মনুষ্যকৃত বলা যাইতে পারে। এস্থানে এই সিদ্ধান্ত উহ্য আছে যে বেদ কোন পুরুষ কর্তৃক স্বস্ট হয় নাই । স্থতরাং অগত্যা সাংখ্যমতে বেদ “অপৌরুষেয়” । ফলতঃ সাংখ্যাচাৰ্য্যদিগের মত এই যে মনুষ্য হইতে যাহ। কিছু উৎপন্ন হয় সে সকলকেই যে মনুষ্যের কৃত কহিতে হইবে এমত নহে। নিদ্রাবস্থায় যে নিশ্বাস নির্গত হয় তাহা কি মানুষের ইচ্ছাধীন বা বুদ্ধিকৃত কাৰ্য । তাঁহাকে মনুষেরু কৃত কাৰ্য্য বলা যায়না। বেদঃ তদ্রুপ নিশ্বাসের ন্যায় নির্গত হইয়াছে। তাহা যদি কোন পুরুষ হইতে নির্গত হইয়াও থাকে তথাপি তাহাতে তাদৃশ পুরুষের বুদ্ধি, চিন্তা বা কর্তৃত্ব কিছুমাত্র নাহি । এতাবত প্রকারান্তরে সাংখ্যমতে বেদ অপৌরুষেয়ই হইতেছে। কপিলদেব এস্থলে পূর্বপক্ষ করিয়াছেন যে, বেদ যদি বুদ্ধি পূর্বক কৃত না হইয়। থাকে তবে কি বেদ অসংলগ্ন, অসঙ্গত ও ভ্ৰমযুক্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার ? তিনি এই পূর্ব পক্ষের সিদ্ধান্ত এইরূপ করিয়াছেন যে, “নিজশক্ত্যভিব্যক্তেঃ স্বতঃপ্রামাণ্যং” ৫ । ৫১ ক্ষু বেদণনিজশক্তিতেই সত্যজ্ঞান প্রকাশ করেন এবং আপনিই আপনার প্রমাণ । অতঃপর বেদেতে যে দেবতা ও ফল বিষয়ে শ্রীতি আছে তৎসম্বন্ধে কপিল কহিয়াছেন যে

  • বেদ ঋষিগণের হৃদয়ের ভাব হইতে উৎপন্ন। বুদ্ধিকৃত নহে। এই ভাবে অপৌরুষেয় এবং বেদান্ত এই তাৎপর্য্যেই উহাকে ঈশ্বর-প্রণীত বলেন । ৯ ও ১• ক্রম দৃষ্টি করহ।

† এখানে বেদ শব্দে মানবের হৃদয়োৎপন্ন উপাসনা প্রবৃত্তি যাহা ব্যক্ত হইয়া অন্তে বেদ শাস্ত্র হুইয়াছে। তাদৃশ হৃদয়োৎপন্ন উপাসনা বা মন্ত্র ষে আপনিই আপনার প্রমাণ তাহ অনেকে এখনও স্বীকার করিয়া থাকেন।