পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sv". বেদাস্ত প্রবেশ । এখানে যে কোন মত বা কাৰ্য্য প্রচার করা হইয়াছে তাহা ভারতের বেদ-সার-বিশিষ্ট অস্থিতে কখনই সস্থ হয় নাই। ৬৪ । এই দর্শনের অনীশ্বরবাদ এবং প্রকৃতির জগৎকারণত্ব বেদান্তসূত্রে বিশেষরূপে খণ্ডিত হইয়াছে। কেবল এক ঈশ্বর না মানা ব্যতীত সাংখ্যদর্শনের অনেক মতের, ন্যায় ও বেদান্তের সহিত ঐক্য হয়। ঐ ঐক্যরূপ মূলের উপরি দণ্ডায়মান হইয়া বেদান্ত ইহার সহিত বিচারে যতদূর পারগ হইয়াছিলেন এমত আর কোন দর্শন নহে। বেদান্তসূত্র ১১৫ । ১১ । "ঈক্ষতেমশিদং” স্বভাব জগৎকারণ নহে । স্বর্ভাবের চেতনা নাই । কিন্তু “ঈক্ষতি” অর্থাৎ স্বষ্টির সংকল্প করা চৈতন্য অপেক্ষা করে। সে চৈতন্য ব্রহ্মেতে আছে— প্রকৃতিতে নাই। “শ্রতত্বাচ্চ” সৰ্ব্বজ্ঞের জগৎ-কারণত্ব সৰ্ব্বত্র শ্রত হইতেছে, অতএব জড়স্বরূপ স্বভাব জগৎ-কারণ নহে। “কামাচ্চ নানুমানাপেক্ষা” (১।১১৮) জড়-প্রকৃতির কামনা সম্ভবেন । বিনা কামনা স্বভাব কি মতে এই সৰ্ব্বসামঞ্জসীভূত জগৎ স্বষ্টি করিবেক । s পাতঞ্জল দর্শন । ৬৫। পাতঞ্জলসূত্র পতঞ্জলি মুনির প্রণীত বলিয়া প্রসিদ্ধ | পদার্থ নির্ণয় বিষয়ে কপিলের ও ইহঁার সমান মত। এই কারণে পাতঞ্জল দর্শনকে পণ্ডিতেরা সাংখ্যপ্রবচন কহেন । ইহার মতে জীবাতিরিক্ত পরমেশ্বর আছেন ; সাথ্যের সহিত ইহার এই মাত্র প্রভেদ। এজন্য ইহার নাম সেশ্বর-সাথ্য এবং কপিলসূত্রের নাম নিরীশ্বর সাক্ষ্য। এই