পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মীমাংসা । d? তর্কোপন্যাসের নাম “পূর্বপক্ষ” । সিদ্ধান্তানুকূল বিচারের নাম “উত্তরপক্ষ” । “নির্ণয়” শব্দে “সঙ্গতি’ অর্থাৎ সিদ্ধান্তসিদ্ধ বিচাৰ্য বাক্যে তাৎপৰ্য্যাবধারণ । উপরি উক্ত “কুশাহরণ” বিষয়ে সূত্রকার মীমাংসা করিয়াছেন যে “অপিতু বাক্যশেষঃস্যাদন্যায্যত্বাৎ বিকল্পস্য বিধীনামেকদেশঃস্যাৎ’ অর্থাৎ পরশ্ৰুতি পূৰ্ব্বত্রুতির অঙ্গস্বরূপ, অতএব পরশ্ৰুতির তাৎপৰ্য্য পূর্বত্রুতিতে প্রয়োগ পূর্বক মীমাংসা করিতে হইবেক । নতুবা বিকল্প-দোষ বর্তে। এই সূত্র উপরি উক্ত কুশ বিষয়ে প্রয়োগ করলে এইরূপ সিদ্ধান্ত হইবেক যে, উছম্বর সম্বন্ধীয় কুশ দ্বারা যজ্ঞ করাই উদ্দেশ্য; সামান্ত বৃক্ষ উদ্দেশ্য নহে। এই দর্শনের সাধারণতঃ এই ভাব। ইহাতে নিবৃত্তি-ধৰ্ম্মের অর্থাৎ জ্ঞানকাষ্ট্ৰীয় বেদের কোন মীমাংসা বা উপদেশ নাই । এতদনুযায়ী ক্রিয়া-সাধনে যজমানকে বুদ্ধি, যুক্তি, অনুভব প্রভৃতি চালনা করিতে হয় না । এই বর্তমান কালে যজ্ঞাদি ক্রিয়া নাই । কিন্তু ক্রিয়া যত আছে, বৈদিকই হউক আর তান্ত্রিকই হউক, তাহার কোনটির সাধনেই হৃদয় অথবা মস্তিষ্ক চালনা করিতে হয় না । যথাব্যবস্থা কৰ্ম্ম করিলেই সমাজ রক্ষা হইতে পারে । তাহাতে ষজমান ঈশ্বরকে মানুন বা না মানুন সামাজিক ক্ষতি নাই। এই প্রকারের লোক এখন প্রাচীন হিন্দুসমাজেও অনেক, অনীশ্বরবাদী যুব কৃতবিদ্যদিগের মধ্যেও অনেক। শেষোক্ত ব্যক্তিরা ব্রহ্ম অথবা কৰ্ম্ম জন্য স্বকৃতি না মানিয়াও ঐরূপ অনেক ক্রিয়া করিয়া থাকেন। ঐ উভয় সম্প্রদায়ই কৰ্ম্মী শব্দের বাচ্য। কেবল সামাজিকতা ও যশঃ তাছাদের কৰ্ম্মের জীবন—ভগবান নহেন, বিশ্বাস নহে, জ্ঞানও নহে। উপনিষৎ, শ্ৰীমদ্ভাগবত, গীত প্রভূতি