পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢२ বেদান্ত প্রবেশ । শাস্ত্রে ঐরুপ অনীশ্বর-কৰ্ম্মের নিন্দ করিয়া ঈশ্বরাপণ-বুদ্ধিতে, ইশ্বর-দৃষ্টিতে কৰ্ম্ম করিতে অাদেশ দিয়াছেন। তাহাতেই ভারতে ক্রমে ক্রমে নীরস ক্রিয়ায় ব্রহ্মরস প্রবেশ করিয়াছে । জৈমিনিদেবের প্রকাশিত পূৰ্ব্ব মীমাংসার পশ্চাৎ ব্যাস দেব জ্ঞানকাওঁীয় বেদের বিচার করেন। র্তাহার সেই বিচারগ্রন্থের নাম উত্তরমীমাংস। । তিনি তদ্বারা সমস্ত বেদকে ও তদ্ভুক্ত সমস্ত কৰ্ম্মকে ব্রহ্মেতে সমন্বিত করিয়াছেন। শঙ্করাচাৰ্য্য উহার ভাষ্যে মূর্খ ও জ্ঞানবিহীন কৰ্ম্মাদিগকে নিন্দাপূর্বক হৃদয়গত অনুভব সিদ্ধ প্রত্যক্ষ ব্রহ্মোপাসনা স্থাপন করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু সকলেই সকল সময়ে ঈশ্বর-দৃষ্টি করিতে পারে না এজন্য তাদৃশ দুর্বলাধিকারীদের পক্ষে বিশ্বাসবিহীন কৰ্ম্মও স্বকৃতিজনক বলিয়া কথিত হয়।ঞ্চ মূল বেদান্ত অথবা জ্ঞানকাওঁীয় বেদ। সাধারণ বিবরণ। ৬৭। পূর্বে উক্ত হইয়াছে যে ব্ৰহ্মজ্ঞানপ্রতিপাদক বেদ অর্থাৎ উপনিষৎ সমূহই মূল বেদান্ত শব্দের বাচ্য। ঈশা, কেন, কঠ, প্রশ্ন, মুণ্ডক, মাণ্ডুক্য, তৈত্তিরীয়, ছান্দোগ্য, বৃহদারণ্যক এবং ঐতরেয় এই দশখানি উপনিষৎ মাত্র প্রধান ও প্রাচীন। প্রাচীন ভাষ্যকারের এই দশখানি মাত্রকে বিশেষরূপে ব্ৰহ্ম-বিচার স্থলে গ্রহণ করিয়াছেন । তদ্ব্যতীত

  • ঘ চিহ্নিত অতিরিক্ত পত্র দেখ।