পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

奪* বেদান্ত প্রবেশ । কর্তৃত্ব-শক্তি বাহ্য করণ স্বরূপ ইন্দ্রিয়গণেরও নহে, মনোবুদ্ধি আদি অন্তঃকরণেরও নহে এবং পরমাত্মারও নহে* । ৭• । “দ্বা স্থপর্ণ সয়ুজ সখায়া সমানং বৃক্ষং পরিসস্বজাতে ৷ তয়োরন্যঃ পিপ্পলং স্বাদ্বত্ত্যনশ্বন্নন্যোহভিচাকশীতি।” “ছুই স্বন্দর পক্ষী এক বৃক্ষ অবলম্বন করিয়া রহিয়াছেন। র্তাহারা সৰ্ব্বদা একত্র থাকেন এবং উভয়ে পরস্পর সখা ; তন্মধ্যে একটি স্বখেতে ফলভোজন করেন, অন্য নিরশন থাকিয়া কেবল দর্শন করেন।” (ঋক্ ১ম১৬৪সু।) এই রূপকটি ভাঙ্গিয় বুঝ—জীবাত্মা যখন পরমাত্মাতেই প্রতিষ্ঠিত আছেন তখন সৰ্ব্বাদাই তাহারা দুজনে একত্র আছেন। জীবাত্মা দেহেতে বদ্ধ, পরমাত্মাও সেইখানে তাহার সয়ুজ ও সখা স্বরূপে বৰ্ত্তমান। যদিও অদ্বৈতবাদীরা সমানাধিকরণ বশতঃ প্ৰেমদৃষ্টিতে ঐ যুগ্ম আত্মাকে এক বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন কিন্তু র্তাহারা উভয়ে যে সংখ্যাতে এক নহেন তাহা ঐ শ্রীতির দ্বিতীয় চরণেই স্পষ্ট আছে। অর্থাৎ তন্মধ্যে জীবাত্মা স্বকৃত কৰ্ম্মের ফলভোগ করেন, পরমাত্মা কেবল তাহার সাক্ষীস্বরূপ । ৭১। এই প্রকারের স্পষ্ট দ্বৈতপ্রতিপাদক শ্রুতি উপনিষদের মধ্যে বিস্তর আছে। বেদ-সংহিতার মধ্যেও দ্বৈতভাবে ঈশ্বরকে পিতা বলিয়া সম্বোধন করা হইয়াছে “যোনঃ পিত। জনিত যে বিধাতা ধামানি বেদ ভূবনানি বিশ্ব । যে

  • উচ্চ বেদান্ত-বিজ্ঞানাচুসারে এই কর্তৃত্ব ব্যবহারিক মাত্র এবং আগমাপায় বিশিষ্ট । " কেননা উহা জীবের বীজভাবেতে কুটস্থ চৈতন্যের আশ্রয়ে বিষয় হইতে উৎপন্ন হয় । বিষয় বিনিবৃত্ত হইলেই আত্মা কৈবল্য অথবা ব্ৰহ্মাত্মভাব লাভ করে। ফলে তখন তালুশ কর্তৃত্বের যে অত্যন্ত অভাব হয় বেদাস্তের এমত তাৎপৰ্য্য নহে। তখন তাহা দমিত থাকে এই মাত্র। সমাধিভঙ্গে পুনরুদ্দীপিত হয়। এই গ্রন্থে শাস্কর ভাষ্য দৃষ্টি করহ।