পাতা:বেদান্ত প্রবেশ.pdf/৭২

cदभन्छु ! - ¢ፃ দেবানাং নামধা এক এব তং সংপ্রশ্নং ভুবন যন্ত্যন্যা।” (ঋক্‌ ৮ অষ্ট । ৩অ । ১৭ব।) যিনি আমাদের পিতা, যিনি আমাদের জনক,যিনি আমাদের বিধাতা, যিনি সমুদয় স্থান ও সমুদয় ভুবন জানিতেছেন, যিনি দেবগণের পিতা, যিনি অদ্বিতীয়, তাহ হইতে “ভিন্ন” সমস্ত জগৎ তাহাকে অনুসন্ধান করিতেছে। “সনোবন্ধুর্জনিত সবিধাতা” তিনি আমাদের বন্ধু, পিতা এবং বিধাতা। “পিতানোসি পিতা নোবোধি।” তুমি আমারদের পিতা, পিতার ন্যায় আমাদিগকে জ্ঞান দেও গ্রু এই কএকটি স্থলে পরমাত্মা পিতা, জীবাত্মা পুত্র, জগৎ তাহ হইতে ভিন্ন এই রূপ দ্বৈতভাব রহিয়াছে । এ সকল কথা লইয়া কোন তর্ক নাই । কিন্তু “কিংকারণং ব্ৰহ্ম’ ব্রহ্ম কিরূপ কারণ এইরূপ প্রশ্নের উত্তরেই বৈদান্তিক অদ্বৈতবাদ ও আড়ম্বরের সূত্রপাত দেখা যায়। উপনিষদের মত এই যে “স্থষ্টি হইবার অগ্রে জগৎ ব্রহ্মরূপ কারণেতে অব্যক্তরূপে বিদ্যমান ছিল’ ; ঈশ্বর ইচ্ছা করিলেন আর র্তাহার শক্তিরূপ উপাদান হইতে তাহ। ব্যক্ত হইল। এইরূপ মতের, ন্যায় ও বৈশেষিক দর্শনের অঙ্গীকৃত অনাদি-দ্বৈত-তত্ত্বের সহিত ঐক্য হয় না; কিন্তু এই মতই ব্যাসদেব-প্রণীত বেদান্তসূত্রে ধৃত হইয়াছে। শঙ্করাচার্যের সময় হইতে ক্রমে তাহাই বিস্তীর্ণ বেদান্ত-দর্শনে বিস্তুতি প্রাপ্ত হইয়া প্রচারিত হইয়াছে। ৭২। উপনিষদের মতে ব্ৰহ্ম জগতের যেরূপ কারণ মুণ্ডক উপনিষদে তাহার আভাস আছে। “যথোর্ণনাভিঃ • যজুঃসংহিতা—তত্ববোধিনী পত্রিকা ।